Logo

ক্রসফায়ারে ছাত্রদল নেতা হত্যা: আছাদুজ্জামান ৭ দিনের রিমান্ডে

profile picture
জনবাণী ডেস্ক
১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ০২:০৩
185Shares
ক্রসফায়ারে ছাত্রদল নেতা হত্যা: আছাদুজ্জামান ৭ দিনের রিমান্ডে
ছবি: সংগৃহীত

আসামিরা ২০১৫ সালের ১৯ জানুযারি ২১ জানুয়ারি পর্যন্ত বেআইনিভাবে হেফাজতে রেখে নির্যাতন

বিজ্ঞাপন

রাজধানীর খিলগাঁও থানা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. নুরুজ্জামান জনিকে পুলিশি হেফাজতে ‘ক্রসফায়ারের নামে হত্যার’ অভিযোগে করা মামলায় সাবেক ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়াকে ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।  

বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর)  ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট সাইফুল ইসলামের আদালতে তার উপস্থিতিতে এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

বিজ্ঞাপন

বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) রাতে রাজধানীর মহাখালী ফ্লাইওভার এলাকা থেকে আছাদুজ্জামান মিয়াকে গ্রেফতার করে র‌্যাব।

বিজ্ঞাপন

২০১৫ সালের ২০ জানুয়ারি খিলগাঁও এলাকায় পুলিশ হেফাজতে থাকা অবস্থায় কথিত বন্দুকযুদ্ধে তিনি নিহত হন। এ ঘটনায় নয় বছর পর গত ৩ সেপ্টেম্বর জনির বাবা ইয়াকুব আলীর করা রাজধানীর খিলগাঁও থানায় মামলায় সাবেক এমপি সাবের হোসেন চৌধুরীসহ ৬২ জনের নামোল্লেখ করা হয়েছে।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ২০১৫ সালের ১৯ জানুযারি সকাল আনুমানিক ৮টা ১৫ মিনিটের দিকে নূরুজ্জামান জনি ও তার সহপাঠি মইনসহ ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে ছোট ভাই মনিরুজ্জামান হীরাকে দেখতে যায়। কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ফেরার পথে আসামিরা জনি ও মইনকে ডিবি পরিচয় দিয়ে অবৈধভাবে আটক করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে নির্যাতন চালায়। পরবর্তীতে তাদেরকে ডিবি ঢাকা মেট্রোপলিটন-দক্ষিণ কার্যালয়ে নিয়ে গিয়েও নির্যাতন চালায়।

বিজ্ঞাপন

এরইমধ্যে বাদী এবং ভিকটিম নুরুজ্জামান জনির ৭ (সাত) মাসের অন্তঃসত্তা স্ত্রী মুনিয়া পারভিনসহ আত্মীস্বজনরা খিলগাঁও থানা, ডিবি দক্ষিন অফিস, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ অফিসসহ বিভিন্ন থানায় হন্য হয়ে খুঁজে বেড়ায়। আসামিরা জনিকে আটক করেননি বলে জানান। প্রায় ২ দিন ধরে খোঁজাখুজি করার পরেও নুরুজ্জামান জনির কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি।

বিজ্ঞাপন

পরবর্তীতে ২১ জানুযারি রাত আনুমানিক ৩টা থেকে সাড়ে ৩টার দিকে খিলগাঁও থানাধীন জোড়াপুকুর খেলার মাঠের আশপাশের মানুষ নির্যাতনের ফলে কান্না ও চিৎকার করা কন্ঠ শব্দ শুনতে পায়। কান্না বিজড়িত কণ্ঠে নির্যাতিত ব্যক্তিটি পানি-পানি বলে চিৎকার ও মা-মা বলে আর্তনাদ করতে থাকে।

বিজ্ঞাপন

ঘটনাস্থলের এলাকার পাশে সি-ব্লকের বাসিন্দা লাভলী বেগম রাতের কান্নার শব্দ শুনেছে বলে জানান। এ-ব্লকের বাসিন্দা সাইফুদ্দিনের স্ত্রী সানজিদা আক্তার সেতু জানান, রাত ৩টার দিকে ওমাগো, মা, মা.. বাঁচাও বলে কয়েকবার চিৎকার শুনেছেন।

বিজ্ঞাপন

সেই সময় আশপাশ এলাকার বাসিন্দারা গুলির শব্দ শুনতে পায়। ভোর রাতে বাদীসহ সাক্ষীগণ আত্মীয়-স্বজন ও প্রতিবেশীরা  খিলগাও খানাধীন জোড়াপুকুর মাঠের দিকে গিয়ে পুলিশদের দেখতে পায়। আসামিরা বলে যে, নুরুজ্জামান জনি পুলিশের সঙ্গে বন্দুক যুদ্ধে নিহত হয়েছে। তাহার মৃতদেহ  ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

বাদী ও সাক্ষীগণ ঢাকা মেডিকেল মর্গে যায় এবং সেখানে গিয়ে দেখে নুরুজ্জামানের বুকের বামে, ডান দিকে, দুই হাতের তালু ও করিতে ১৬টি গুলির চিহ্ন সমস্ত শরীর ঝাঁজরা করে ফেলেছে। শরীরের বিভিন্ন স্থানে মারাত্মক আঘাতের চিহ্ন দেখতে পায়। উপস্থিত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের জিজ্ঞাসা করলে তারা কর্কশ ভাষায় গালিগালাজ করে। লাশ গ্রহণ না করলে মামলা দেওয়ার হুমকি দেয়।

বিজ্ঞাপন

এজাহারে বলা হয়, আসামিরা ২০১৫ সালের ১৯ জানুযারি ২১ জানুয়ারি পর্যন্ত বেআইনিভাবে হেফাজতে রেখে নির্যাতন ও গুলি করে ছাত্রদল নেতা নুরুজ্জামান জনিকে নির্যাতন ও নির্মমভাবে গুলি করে হত্যা করে।

জেবি/এসবি

বিজ্ঞাপন

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশকঃ

মোঃ শফিকুল ইসলাম ( শফিক )

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ৫৭, ময়মনসিংহ লেন, ২০ লিংক রোড, বাংলামটর, ঢাকা-১০০০।

ফোনঃ 02-44615293

ই-মেইলঃ dailyjanobaninews@gmail.com; dailyjanobaniad@gmail.com

জনবাণী এর সকল স্বত্ব সংরক্ষিত। কপিরাইট © ২০২৫

Developed by: AB Infotech LTD