Logo

‘একমাত্র দৃষ্টি প্রতিবন্ধী হলে শাপলার পাশের চিহ্ন বিএনপির প্রতীকের সাথে মিল পাবে’

profile picture
নিজস্ব প্রতিবেদক
১৯ অক্টোবর, ২০২৫, ২১:৩৫
23Shares
‘একমাত্র দৃষ্টি প্রতিবন্ধী হলে শাপলার পাশের চিহ্ন বিএনপির প্রতীকের সাথে মিল পাবে’
ছবি: সংগৃহীত

বিএনপি চেয়ারপারসনের পররাষ্ট্র বিষয়ক কমিটির বিশেষ সহকারী ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, চুড়ান্ত পর্যায়ে ধৈর্য ধরে, সমস্ত ক্রোধ সংবরণ করে নতুন দলের এক অতি বাঁচাল সদস্য ও তার মত করে কথা বলা কতিপয় সদস্যের প্রতি উদ্দেশ্য করে বলছি, শাপলা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন কমিশন সিধান্ত দিবে। বিএনপির নির্বাচনী প্রতীক ধানের শীষের সাথে কোথাও কোনো মিল জাতীয় প্রতীকে নেই। একমাত্র দৃষ্টি প্রতিবন্ধী হলে শাপলার দুই পাশের চিহ্ন বিএনপির প্রতীকের সাথে মিল খুঁজে পাওয়ার চেষ্টা করতে পারে।

বিজ্ঞাপন

রবিবার (১৯ অক্টোবর) নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে স্ট্যাটাসে এইসব কথা বলে। আমাদের পাঠকের জন্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনের পোস্ট হবহু তুলে ধরা হলো:

তিনি বলেন, আমরা লক্ষ্য করছি কিছুদিন যাবৎ দেশের ভেতর নানা বড় ঘটনা ঘটে যাচ্ছে। এইসব ঘটনা কাকতালীয় হলেও হতে পারে কিন্তু আমরা কোনোভাবেই পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র ও অন্তর্ঘাতমূলক কর্মকাণ্ডের সম্ভাবনা উড়িয়ে দিতে পারিনা। পার্বত্য চট্টগ্রামের তিন জেলায় বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনের মাথাচারা দিয়ে ওঠা, দেশের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড যার সর্বশেষ উদাহরণ বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজ। এর আগে চট্টগ্রাম বন্দরে শ্রমিক আন্দোলন ও স্থবিরতা তৈরি। যেকোনো যৌক্তিক আন্দোলনকে স্বাগত জানিয়েই বলছি, অযাচিত ও অন্যায়ভাবে জুলাই সনদের দিন সংসদ এলাকায় নিরাপত্তা বেষ্টনী ভেঙে ফেলা। সবকিছুই ইঙ্গিত দেয় পতিত ফ্যাসিবদের ইন্ধন ও প্ররোচনায় বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে বহিঃশত্রু।

বিজ্ঞাপন

তিনি পোস্টে আরও বলেন, মিয়ানমার বর্ডারে নিকটবর্তী বাংলাদেশ অংশে গোলাগুলির ভয়ে নিজ কৃষি জমিতে যেতে পারছে না বাংলাদেশের কৃষকরা। তিস্তা নদীর পানি বণ্টন চুক্তি অনুযায়ী প্রতিশ্রুতি রক্ষা করছে না ভারত সেই বাপারে জোরালো কোন বক্তব্য রাখেননি আপনারা। আপনারা জুলাই অভ্যুত্থানে অগ্রণী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন নিঃসন্দেহে। যেকারণে দেশবাসী আপনাদের প্রতি গভীর ভালবাসা লালন ও শ্রদ্ধা পোষণ করে।

বিএনপি এই নেতা বলেন, কিন্তু এই নতুন দল, যারা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে প্রক্সি দিয়ে সমস্ত সুবিধা ভোগ করে যে আচরণ শুরু করেছে, তাহলে এখন কি হাসিনা যেভাবে বলতো দেশটা ওর বাপের জমিদারি। সে যা বলবে সেটাই আইন, আমরা তার প্রজা। আপনার কি সেই পথেই হাঁটছেন?

বিজ্ঞাপন

ইশরাক হোসেন বলেন, আপনাদের হুমকি ধামকি, বিএনপির প্রতি অন্যায্য আক্রমণ শুনতে শুনতে এখন আমার অনুভূতি এরকম, আগে ছিলাম হাসিনা আর ভারতের নির্যাতিত অবরুদ্ধ প্রজা। এখন আমরা এনসিপি দলের indirect অধীনে নির্যাতন বিহীন ও কিছুটা মুক্ত দাস। মনিব যা বলবে দাস হয়ে আমরা শুনেই যাবো।

সর্বশেষ পোস্টে ইশরাক হোসেন লেখেন, এরকম যদি হয় তাহলে সরাসরি বলতে হবে, দেশে আইন বলে কিছু নাই। যা আপনারা চাবেন তাই হবে, অন্যদের কোন অধিকার থাকবে না। যেহেতু বাংলাদেশ আপনারা একাই রক্ত দিয়ে জীবন দিয়ে ‘স্বাধীন’ করে দিয়েছেন এখন আপনাদের দেশে আমাদের দয়া করে থাকতে দিচ্ছেন। যেমনে শেখ মুজিব একাই যুদ্ধ করেছিল।

জেবি/এমএল
Logo

সম্পাদক ও প্রকাশকঃ

মোঃ শফিকুল ইসলাম ( শফিক )

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ৫৭, ময়মনসিংহ লেন, ২০ লিংক রোড, বাংলামটর, ঢাকা-১০০০।

ফোনঃ 02-44615293

ই-মেইলঃ dailyjanobaninews@gmail.com; dailyjanobaniad@gmail.com

জনবাণী এর সকল স্বত্ব সংরক্ষিত। কপিরাইট © ২০২৫

Developed by: AB Infotech LTD