ভূমিকম্প নিয়ে কী লেখা আছে কুরআনে, উঠে এলো আজহারীর পোস্টে

সাম্প্রতিক ভূমিকম্পে দেশজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লেও বিষয়টি নিয়ে ভিন্ন আঙ্গিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন জনপ্রিয় ইসলামী বক্তা মিজানুর রহমান আজহারী। শুক্রবার রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক দীর্ঘ স্ট্যাটাসে তিনি ভূমিকম্পের মুহূর্তের নিজের অভিজ্ঞতা তুলে ধরার পাশাপাশি কুরআনে ভূমিকম্প সম্পর্কে কী বলা হয়েছে, তাও ব্যাখ্যা করেন।
বিজ্ঞাপন
এদিকে, গতকালের বড় ধরনের কম্পনের ২৪ ঘণ্টা না যেতেই আজ শনিবার সকাল ১০টা ৩৬ মিনিটে ঢাকার আশুলিয়ার বাইপাইলে আবারও হালকা ভূমিকম্প অনুভূত হয়। আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্র জানায়, রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৩ দশমিক ৩।
কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন আহমেদ জানান, এটি একটি মাইনর ভূমিকম্প, যার উৎপত্তিস্থল ছিল বাইপাইল এলাকা।
বিজ্ঞাপন
গতকালের ভূমিকম্পের পর নিজের অনুভূতি তুলে ধরে আজহারী লিখেছেন, সকালের ভূমিকম্পে বিল্ডিং দুলতেই আমি স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিলাম। মনে হচ্ছিল, আর কয়েকটি ঝাঁকুনি পড়লেই হয়তো ঢাকার চিত্র ভয়াবহ হয়ে উঠত। আল্লাহর অসীম রহমতে আমরা রক্ষা পেয়েছি।
তিনি বলেন, অপরিকল্পিত নগর উন্নয়ন, দুর্বল ভবন কাঠামো এবং অপ্রস্তুত দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা আমাদের পরিস্থিতিকে আরও ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলেছে। তাই এসব ঘটনা মানুষের জন্য সতর্কবার্তা হিসেবে দেখা উচিত।
কুরআন থেকে উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি লিখেছেন- মানুষকে দুর্বলভাবে সৃষ্টি করা হয়েছে, আর ভূমিকম্প মানুষের অহংকার ভেঙে দেয়। এটি দেখিয়ে দেয়, আল্লাহর শক্তির সামনে মানবজাতি কতটা অসহায়। এমনই শক্তিশালী সেই সত্তা, যার সিদ্ধান্ত ঠেকানোর ক্ষমতা কারো নেই।
বিজ্ঞাপন
তিনি আরও বলেন, জীবনের ব্যস্ততায় মানুষ মৃত্যু ভুলে থাকে। অথচ মৃত্যুর সময় কারও জানা নেই—কখন, কীভাবে বা কোন পরিস্থিতিতে তা ঘটবে। তাই সবসময় প্রস্তুত থাকা উচিত, তওবার মাধ্যমে আল্লাহর দিকে ফিরে আসা উচিত।
আসল ভূমিকম্প সম্পর্কে তিনি স্মরণ করিয়ে দেন কুরআনের বর্ণনা— “যেদিন জমিন প্রবল কম্পনে কেঁপে উঠবে, পর্বতমালা চূর্ণ হয়ে ধূলিকণায় পরিণত হবে। [সূরা আল ওয়াকিয়াহ, ৪-৬]”








