১২ বছরে কত পরিবার শেষ, আজ দোয়া কবুল হলো: শামারুহ মির্জা

গত বছর জুলাইয়ে ছাত্র আন্দোলনের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধ সংক্রান্ত মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণা করেছে।
বিজ্ঞাপন
সোমবার (১৭ নভেম্বর) বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল এই রায় প্রকাশ করেন। প্যানেলের অন্য দুই সদস্য ছিলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ এবং অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
রায়ের পরে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মেয়ে শামারুহ মির্জা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজের অনুভূতি প্রকাশ করেছেন।
বিজ্ঞাপন
বিকালে তার ফেসবুক পোস্টে তিনি লিখেছেন, রায় বের হয়েছে। আব্বুকে ফোন করলাম। কেঁদেছি। ২০১৩ থেকে এই দিনের জন্য অপেক্ষা করেছি। আমাদের জীবনে যে ক্ষতি হয়েছিল, তার জন্য মামলা করব। আমাদের মানসিক, শারীরিক ও আর্থিক ক্ষতি হয়েছে।
তিনি আরও লিখেছেন, এই ১২ বছরে কত পরিবার শেষ হয়েছে। কত মানুষ খুন ও গুম হয়েছে। আজ মজলুমের দোয়া পূর্ণ হলো। আল্লাহ সর্বশক্তিমান।
বিচারিক প্যানেল দুইটি অভিযোগ বিবেচনা করে রায় দেন। দুই নম্বর অভিযোগে শেখ হাসিনাকে মৃত্যুদণ্ড, আর এক নম্বর অভিযোগে তাকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেওয়ার আদেশ দেওয়া হয়।
বিজ্ঞাপন
এই রায় ঘোষণার পর রাজনৈতিক ও সামাজিক মহলে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। সরকারের রূপান্তর ও বিচার প্রক্রিয়ার নিরপেক্ষতা নিয়ে বিভিন্ন মতামত প্রকাশিত হলেও, শামারুহের মন্তব্যে প্রতিফলিত হয়েছে দীর্ঘদিন ধরে পরিবার ও নিজের উপর যেসব কষ্ট হয়েছে তার প্রতিফলন।
রায়ের মাধ্যমে গত বছর জুলাইয়ে সংঘটিত ছাত্র আন্দোলনের সময় মানবতাবিরোধী কার্যক্রমের বিচার এবং ক্ষতিগ্রস্তদের ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার পথ খোলা হয়েছে। এর সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে দণ্ড কার্যকরের বিষয় এখন সরকারের নজরদারিতে রয়েছে।








