আম্মার জন্য আর কখনো বাড়ি করা হবে বলে মনে হয় না: হাসনাত

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ একটি হৃদয়স্পর্শী ফেসবুক পোস্টে তার মায়ের প্রতি অনুভূতি প্রকাশ করেছেন। পোস্টে তিনি ব্যক্ত করেছেন ব্যক্তিগত স্মৃতি, দুঃখবোধ ও প্রত্যাশার মিশ্র অনুভূতি, যা সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপকভাবে পাঠক ও সমর্থকদের হৃদয় ছুঁয়েছে।
বিজ্ঞাপন
হাসনাত লিখেছেন, মুরগিকে ঘিরে মুরগি-ছানাদের যেরূপ বৈভবহীন পৃথিবীর আবর্তন, আমার সঙ্গে আমার মায়ের সম্পর্কটা ঠিক সেরকম। দুপুরে যত্ন করে ঘাড়ে–পিঠে ট্যালকম পাউডার লাগিয়ে দিয়ে বিছানায় কবিতা পড়তে দিত। আমার পড়ার শব্দে ঘুমিয়ে পড়া এবং পড়ার শব্দ বন্ধ হলে ঘুম থেকে ওঠা আমার মায়ের কাছে আমার অনেক ঋণ আছে।
তিনি আরও উল্লেখ করেছেন, তাঁর পরিকল্পনা ছিল আগামী অধিবর্ষের পূর্বেই মায়ের জন্য একটি বৃষ্টিস্নিগ্ধ বাড়ি তৈরি করার। তবে জুলাই মাসে ঘটিত পরিস্থিতি মায়ের সঙ্গে তার সম্পর্কের মধ্যে এক অদৃশ্য দূরত্ব টেনে দিয়েছে।
বিজ্ঞাপন
হাসনাত লিখেছেন, শেষ কবে আম্মার সাথে কথা হয়েছে মনে পড়ে না। আম্মার জন্য আর কখনো বাড়ি করা হবে বলে মনে হয় না। এসব নিয়ে ইষৎ দুঃখবোধও হয়। তবে এর সাথে পরিতৃপ্তি বোধও আছে।
পোস্টে তিনি দেশব্যাপী তাঁর কর্মসূচি ও অনিশ্চয়তার মধ্য দিয়ে চলা জীবনকেও তুলে ধরেছেন। তিনি লিখেছেন, আমি অনিশ্চয়তা মাথায় নিয়ে দেশের এক প্রান্ত থেকে আর এক প্রান্ত ঘুরে বেড়াচ্ছি। গাড়ি এখন সূর্যপুরমুখী। ফ্রন্ট সিটটা হেলিয়ে দিয়ে, গ্লাসের ফোঁকর দিয়ে আমার কর্মীদের মোটরসাইকেলগুলো দেখছি, যারা আমাদের মতো রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক চাপের মধ্যে দাঁড়িয়ে এগিয়ে চলেছে।
হাসনাত আশা প্রকাশ করেছেন, ভবিষ্যতে কোনো সন্তান যেন তার মায়ের কাছ থেকে দূরে না থাকে।
বিজ্ঞাপন
তিনি লিখেছেন, প্রত্যাশা করি এই ছবির মায়েদের জন্য তাদের নিজেদের সন্তানরা যেনো বৃষ্টিস্নিগ্ধ বাড়ি করে দেয়—যে বাড়িতে শেষ বয়সে তাদের সন্তান তাদের পায়ে ব্যথার মালিশ করবে, ঠিক যেমন গোধূলির আলো নিজের শেষ মমতা দিয়ে দিনের ক্লান্ত সূর্যকে কোলে তুলে নেয়।
তিনি শেষ করেছেন মায়ের প্রতি শান্তি ও নিশ্চিন্ত প্রত্যাশার কথায়, লেখেন- প্রত্যাশা করি, প্রতিটি মা যেন তার সন্তানের সেই গোধূলিবেলাটা ফিরে পায়, মমতার শেষ আলোয় ভেজা, নিশ্চিন্ত ও শান্ত।








