ভাবলেই গা শিউরে ওঠে : অতীত স্মরণে শামসুজ্জামান দুদু

চুয়াডাঙ্গা-১ আসন থেকে দু’বারের সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা শামসুজ্জামান দুদু তার রাজনৈতিক জীবনের প্রারম্ভিক সময়ের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে বলেছেন, স্বাধীনতা-পরবর্তী চুয়াডাঙ্গার রাজনীতি ছিল অত্যন্ত ভয়ংকর ও ঝুঁকিপূর্ণ। সেসব সময়ের প্রেক্ষাপট মনে পড়লে এখনো গা শিউরে ওঠে।
বিজ্ঞাপন
মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) দুপুরে ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড আইডি থেকে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ অনুভূতি ব্যক্ত করেন।
দুদু লেখেন, স্বাধীনতার আগেই চুয়াডাঙ্গা ছিল বাম রাজনীতির শক্ত ঘাঁটি। ভাসানী ন্যাপ এবং চীনা পন্থী কমিউনিস্ট দলগুলোর সংগঠন এ অঞ্চলে ছিল সুসংগঠিত ও জনপ্রিয়। সত্তরের নির্বাচন বর্জনের কারণে ভাসানী ন্যাপ মাঠের বাইরে থাকলেও স্বাধীনতার পর দেখা যায়, চীন পন্থী কমিউনিস্ট সংগঠনগুলো আগের মতোই শক্তিশালী থেকে যায়।
বিজ্ঞাপন
তার মতে, এই প্রেক্ষাপটেই খুলনা বিভাগে রক্ষী বাহিনীর ব্যাপক নির্যাতন, হত্যাকাণ্ড ও গুমের ঘটনা ঘটে—বিশেষ করে চুয়াডাঙ্গায়।
তিনি লিখেন, হাজারো নির্যাতন, গুম ও খুন সত্ত্বেও ভাসানী ন্যাপ ও চীনপন্থী কমিউনিস্ট রাজনৈতিক শক্তিগুলো শেখ মুজিব, আওয়ামী লীগ এবং তৎকালীন সরকারের বিরুদ্ধে সংগঠিত প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল।
দুদু জানান, সেই সময় তিনি ও কয়েকজন তরুণ শেখ মুজিব সরকার ও আওয়ামী লীগের বিরোধিতায় ছাত্র রাজনীতি শুরু করেন। সেই পথ ধরেই তিনি আজ জাতীয় রাজনীতির অন্যতম শক্তিশালী একটি দলের গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে এসেছেন।
বিজ্ঞাপন
ফেসবুক পোস্টে তিনি আরও বলেন, চুয়াডাঙ্গার রাজনীতি তার রাজনৈতিক জীবনের ভিত্তি ও গর্ব।
তিনি লিখেন, শুরুটা করেছিলাম অন্যায়ের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করতে। সেই পথে ঝুঁকি ছিল অসংখ্য, মরেও যেতে পারতাম। যেমন আমার চাচাতো ভাইসহ অনেক নেতা–কর্মী শহীদ হয়েছেন। আল্লাহ হয়তো আমাকে বাঁচিয়ে রেখেছেন শেষটা দেখার জন্য, আরও কাজ করার জন্য।
বিজ্ঞাপন









