জামায়াতের ‘ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিং’ পরিকল্পনা নিয়ে ভিডিও ফাঁস

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন এক বিতর্কের সৃজন হয়েছে। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে এক গোপন অনলাইন বৈঠকের ভিডিও, যেখানে নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় “ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিং” করার পরিকল্পনার কথোপকথন আলোচিত হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
ভিডিওটি আল-জাজিরার অনুসন্ধানী সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মী জুলকারনাইন সায়ের খান মঙ্গলবার রাতে তার ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে প্রকাশ করেন। ভিডিওটি প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে রাজনৈতিক মহলে এবং সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।
ভিডিওতে দেখা যায়, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশের ইন্ডিপেনডেন্ট পরিচালক মো. আব্দুল জলিল, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ এবং ইসলামী ব্যাংকের কয়েকজন অন্যান্য কর্মকর্তার মধ্যে কথোপকথন চলছে।
বিজ্ঞাপন
সূত্রের দাবি অনুযায়ী, বৈঠকে ভোট কেন্দ্রের ভেতরে ও বাইরে দায়িত্ব বণ্টন, সমন্বয় ও নির্বাচন-সংক্রান্ত কিছু পরিকল্পনার বিষয় আলোচিত হয়েছে।
তবে, ভিডিওটির সত্যতা এবং প্রেক্ষাপট এখনো কোনো স্বাধীন উৎস বা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করেনি। ফলে ভিডিওতে উঠে আসা কথোপকথনের যথার্থতা, সময়কাল, উদ্দেশ্য এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের প্রকৃত ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে।
জামায়াতে ইসলামী দলের পক্ষ থেকে এ ধরনের সম্পর্কের কোনো প্রমাণ অস্বীকার করা হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
গত ২৮ অক্টোবর ২০২৫ তারিখে দলের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার জানিয়েছিলেন, জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ব্যাংকের মধ্যে কোনো প্রাতিষ্ঠানিক সম্পর্ক নেই।
নতুন ভিডিওটি প্রকাশের পর পুরোনো বিতর্ক পুনরায় মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে।
বিজ্ঞাপন
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, ভিডিওটি যদি সত্য হয়, তবে এটি নির্বাচনী প্রক্রিয়া এবং রাজনৈতিক পরিবেশে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারে। তবে যাচাই-বাছাই ছাড়া এ ধরনের ভিডিওকে সত্য ধরে নেওয়া বা প্রচার করা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলতে পারে। তাদের মতে, ভিডিওটির উৎস, সত্যতা ও উদ্দেশ্য নির্ধারণে স্বাধীন তদন্ত করা অত্যাবশ্যক।
ভিডিওটি প্রকাশিত হওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেলেও, এখনো সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া দেননি। রাজনৈতিক মহলে বিতর্ক চলতে থাকা অবস্থায়, এই ভিডিও নির্বাচনী পরিবেশে নতুন উত্তেজনা যোগ করেছে।








