তোর জেলে পচে মরতে হবে

দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত মোহাম্মদ আলীকে পূবালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) হিসেবে পুনরায় নিয়োগ দেওয়ার প্রেক্ষাপটে ব্যাংকের বর্তমান চেয়ারম্যান মঞ্জুরুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি এক বিস্ফোরক প্রতিক্রিয়া জানান।
বিজ্ঞাপন
সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি সরাসরি হুমকি দেন, প্রশ্নের জবাবে দেন ব্যক্তিগত আক্রমণ, এবং দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সম্পর্কে দেন নানা বিতর্কিত মন্তব্য।
সাক্ষাৎকারের প্রধান অংশ তুলে ধরা হলো:
প্রশ্ন: মোহাম্মদ আলীকে পুনরায় এমডি হিসেবে নিয়োগের সিদ্ধান্ত বোর্ডের সাত সদস্যের বিরোধিতা সত্ত্বেও কীভাবে নেওয়া হলো?
বিজ্ঞাপন
মঞ্জুরুর রহমান: “বোর্ড কে? আমি চাইলে আজই আরো পাঁচ বছরের জন্য নিয়োগ দিতে পারি। বোর্ডের অনেকে জানে না ব্যাংক কিভাবে চলে। মোহাম্মদ আলী আমার পরিবারের মতো। খুব ভালো মানুষ। ও দুর্নীতি বোঝেই না। যদি করত, আমি জানতাম।”
প্রশ্ন: দুদক তদন্ত করছে, অভিযোগ এনেছে তিনি অনিয়ম ও দুর্নীতিতে জড়িত।
মঞ্জুরুর রহমান:“দুদক একটা ধান্দাবাজ সংস্থা। তারা বিশেষ সুবিধা নিতে আমাদের পিছনে লেগেছে। আমার এবং মোহাম্মদ আলীর বিরুদ্ধে তারা যে তথ্যে তদন্ত করছে, সেগুলো সব ডাহা মিথ্যা। ওদের মাথায় সমস্যা। ওরা জানে না আমি কার বংশের।”
বিজ্ঞাপন
প্রশ্ন: আপনার বিরুদ্ধে কিছু অভিযোগ আছে, বিদেশে টাকা পাচার করার
মঞ্জুরুর রহমান: উত্তেজিত হয়ে বলেন “বৈধ টাকা দিয়ে বিদেশে গাড়ি-বাড়ি কেনা দোষের কিছু না। আমি দুর্নীতিবাজ না। কিন্তু তুই যদি আমার বিরুদ্ধে কিছু লিখিস, তোর জেলে পচে মরতে হবে। তুই আমার খারাপ রূপ দেখোনি। এখনই তোকে ধরে নিয়ে যেতে পারি।”
প্রশ্ন: আপনি কি সাংবাদিকদের হুমকি দিচ্ছেন?
বিজ্ঞাপন
মঞ্জুরুর রহমান: “আমি হুমকি দিচ্ছি না, সাবধান করছি। তোরা যা করছিস, সেটা সীমার বাইরে যাচ্ছে। আমার ভাই-ব্রাদাররা র্যাব-পুলিশের বড় কর্তা। তোকে গায়েব করে দিতে আমার এক মিনিটও লাগবে না।”
প্রশ্ন: তদন্তে বাধা দিয়ে কি দুদক থামিয়ে দিচ্ছেন ?
মঞ্জুরুর রহমান: “ওরা ভয় পেয়েছে। বুঝেছে আমি কে। তাই এখন আমার তদন্ত আটকে আছে। ওরা সুবিধা করতে চেয়েছিল, পারেনি। এখন আমাদের পিছনে লেগে আছে।”
বিজ্ঞাপন