রাত থেকেই তীব্র শীত, শৈত্যপ্রবাহের সতর্কবার্তা জারি

দেশের বেশ কিছু অঞ্চলে আজ (মঙ্গলবার) রাত থেকেই তাপমাত্রা উল্লেখযোগ্যভাবে কমতে শুরু করবে। আগামী ১০ থেকে ১১ ডিসেম্বর পর্যন্ত তীব্র শীত অনুভূত হতে পারে বলে সতর্ক করেছে বাংলাদেশ ওয়েদার অবজারভেশন টিম (বিডব্লিউওটি)।
বিজ্ঞাপন
বিশেষ করে দেশের উত্তর ও পশ্চিমাঞ্চলের তাপমাত্রা ১০ থেকে ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি নেমে আসার সম্ভাবনা রয়েছে।
বিডব্লিউটি জানিয়েছে, রংপুর, রাজশাহী, সিলেট ও খুলনা বিভাগের কিছু স্থানে রাতের তাপমাত্রা ১০–১১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি নেমে যেতে পারে। অন্যদিকে, ঢাকা, ময়মনসিংহ, সিলেট, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অধিকাংশ স্থানে রাতের তাপমাত্রা ১৩–১৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকতে পারে।
বিজ্ঞাপন
উল্লেখযোগ্যভাবে পঞ্চগড়, নীলফামারী, ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর, কুড়িগ্রাম, জয়পুরহাট, নওগাঁ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রাজশাহী, নাটোর, চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর, যশোর, রংপুর ও শ্রীমঙ্গলে তাপমাত্রা ১০–১১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি নেমে যেতে পারে। এতে করে রাতের সময় ঠান্ডা আরও তীব্রভাবে অনুভূত হবে।
বিডব্লিউটি জানিয়েছে, এই সময়ের মধ্যে তাপমাত্রা সাধারণত ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নামার সম্ভাবনা কম। তবে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের কয়েকটি এলাকায় স্বল্প সময়ের জন্য তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নিচে নেমে শৈত্যপ্রবাহের প্রভাব দেখা দিতে পারে। আবহাওয়ার পরিবর্তনের ওপর এটি নির্ভর করবে।
বিজ্ঞাপন
সংস্থা আরও জানিয়েছে, সামান্য মৃদু শৈত্যপ্রবাহের পরেই দেশে মৌসুমের প্রথম শৈত্যপ্রবাহ সক্রিয় হতে পারে, যা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে রাতের তাপমাত্রা আরও কমিয়ে দেবে। আবহাওয়ার বিশেষজ্ঞরা নাগরিকদের ঠান্ডা থেকে সুরক্ষা নিতে উষ্ণ কাপড়, হিটার ও অন্যান্য প্রস্তুতি নিতে সতর্ক করেছেন।
শীতপ্রবাহ এবং রাতের কম তাপমাত্রা জনজীবন প্রভাবিত করতে পারে, তাই বিশেষ করে শিশু, বৃদ্ধ ও অসুস্থদের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত সতর্কতার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।








