দেশজুড়ে বাড়ছে শীতের তীব্রতা, আরও বাড়ার আভাস আবহাওয়া অফিসের

পৌষের শুরু থেকেই ধীরে ধীরে বাড়তে থাকা শীতের তীব্রতা দ্বিতীয় সপ্তাহে এসে দেশজুড়ে জেঁকে বসেছে। কুয়াশার চাদরে ঢেকে যাচ্ছে চারপাশ, আকাশে সূর্যের দেখা মিললেও তা থাকছে ক্ষণিকের জন্য।
বিজ্ঞাপন
হিমালয় থেকে বয়ে আসা শীতল বাতাস কনকনে ঠান্ডা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে, যার প্রভাব পড়েছে স্বাভাবিক জনজীবনে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, সোমবার ও মঙ্গলবার সারা দেশে রাত ও দিনের তাপমাত্রা আরও সামান্য কমতে পারে। চলতি সপ্তাহের শেষের দিকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ এবং জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে শৈত্যপ্রবাহের আওতা বাড়ার আশঙ্কাও রয়েছে।
শুক্রবার মধ্যরাত থেকে শনিবার সকাল পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন স্থানে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা দেখা গেছে। কোথাও কোথাও দুপুর পর্যন্ত কুয়াশা ছিল। ঢাকায় সকালে হালকা ও মাঝারি কুয়াশা থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সূর্যের দেখা মিলেছে, যা দুপুরের পর আবার আড়াল হয়ে যায়। শনিবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে যশোরে ৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং ঢাকায় ১৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন: ৭ জেলার ওপর দিয়ে বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ
শনিবারের পূর্বাভাসে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, সারা দেশে রাত ও দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা থাকতে পারে, যা দুপুর পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। এতে বিমান চলাচল, নৌপরিবহণ ও সড়ক যোগাযোগ সাময়িকভাবে ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
রাজশাহীতে তাপমাত্রা নেমে এসেছে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। কুয়াশা ও হিমেল বাতাসে রংপুর অঞ্চলে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। ঘন কুয়াশার কারণে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ১৪ ঘণ্টা ফেরি ও লঞ্চ চলাচল বন্ধ ছিল।
বিজ্ঞাপন
যশোরে টানা দ্বিতীয় দিনের মতো দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। শীতের কারণে শ্রমজীবী মানুষের কাজের সুযোগ কমেছে এবং ঠান্ডাজনিত রোগের প্রকোপ বেড়েছে।
রাজশাহী ও আশপাশের এলাকায় চলতি মৌসুমের প্রথম শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। শীতের দাপটে রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নওগাঁ ও নাটোর জেলার মানুষ বিপর্যস্ত।
বিজ্ঞাপন
রংপুরে এক সপ্তাহ ধরে ঘন কুয়াশা ও তীব্র শীতে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, কুয়াশার প্রকোপ ধীরে ধীরে কমলেও শৈত্যপ্রবাহের দিকে পরিস্থিতি যেতে পারে।
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে কয়েকদিনের শীত ও ঠান্ডায় জনজীবন স্থবির হয়ে পড়েছে।
বরিশালসহ বিভিন্ন নৌপথে ঘন কুয়াশার কারণে শত শত নৌযান মাঝ নদীতে আটকে পড়ে। নিরাপত্তার স্বার্থে সাময়িকভাবে নৌযান চলাচল বন্ধ রাখা হয়।
বিজ্ঞাপন
রাজবাড়ী ও গোয়ালন্দে ঘন কুয়াশার কারণে ফেরি চলাচল ১৪ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর পুনরায় স্বাভাবিক করা হয়।








