চাঁদপুরে ৪৫ হাজার জেলেকে খাদ্য সহায়তা প্রদান

চাঁদপুর জেলায় নিষেধাজ্ঞার সময়ে মা ইলিশ আহরণ থেকে বিরত থাকা ৪৫ হাজার ৬শ’ ১৫ জেলেকে মানবিক খাদ্য সহায়তা হিসেবে (বিজিএফ) ২৫ কেজি করে চাল প্রদান করা হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
বুধবার (৮ অক্টোবর) সকালে জেলা ও উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।
জেলেদের এসব খাদ্য সহায়তা দ্রুত সময়ের মধ্যে সরবরাহ করার জন্য আগামী ২৯ অক্টোবর জেলা প্রশাসক মেঘনা উপকূলীয় মতলব উত্তর, মতলব দক্ষিণ, সদর ও হাইমচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর চিঠি দিয়েছেন। ওই চিঠিতে উল্লেখ করা হয় ৩ অক্টোবরের মধ্যে যাতে নিবন্ধিত জেলেরা খাদ্য সহায়তা পান।
বিজ্ঞাপন
জেলা মৎস্য বিভাগ জানায়, এ বছর জেলেদের হালনাগাদ সংখ্যা হিসেবে ৪৩টি পৌরসভা ও ইউনিয়নের ৪৫ হাজার ৬১৫ জন জেলের জন্য খাদ্য সহায়তার বরাদ্দ আসে ১১৪০.৩৭৫ মেট্টিক টন চাল। এসব চাল গুদাম থেকে ইউনিয়ন পরিষদ পর্যন্ত পৌঁছানোর জন্য ২ লাখ ৮৫ হাজার ৯৩ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। টন প্রতি পরিবহণ ব্যয় ধরা হয় ২৫০ টাকা।
হাইমচর উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা এ.বি.এম. আশরাফুল হক বলেন, আমাদের উপজেলায় ১২ হাজার ৩শ ৩ পরিবারের মাঝে খুবই সু-শৃঙ্খলভাবে খাদ্য সহায়তা চাল বিতরণ করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত কোনো জেলে এই বিষয়ে অভিযোগ করেননি।
বিজ্ঞাপন
এদিকে সকালে চান্দ্রা ইউনিয়নের জেলেদের মাঝে খাদ্য সহায়তা বিতরণ করা হয়। ওই ইউনিয়নের জেলে সাইফুল ইসলাম বলেন, এবার চাল ওজনে ঠিক পেয়েছি। কারণ দুইজন জেলেকে ২৫ কেজি করে ৫০ কেজির বস্তা দেয়া হয়েছে। যার ফলে আলাদা করে ওজন দিতে হয়নি।
একই এলাকার জেলে বাবুল মিজি বলেন, চাল পেয়ে আমাদের উপকার হয়েছে। কারণ ২২ দিন আমাদের বেকার থাকতে হবে। তবে এই সহায়তা আরও বৃদ্ধি করা দরকার।
সদর উপজেলা সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান বলেন, পূজার বন্ধের কারণে সদরে চাল বিতরণ কার্যক্রম কিছুটা বিলম্ব হয়েছে। তবে নিবন্ধিত সব জেলের চাল পাওয়ার বিষয়টি আমরা নিশ্চিত করেছি।
বিজ্ঞাপন
চাঁদপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা শ্রীবাস চন্দ্র চন্দ বলেন, প্রত্যেক উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তাদের তত্ত্বাবধানে জেলেদের (বিজিএফ) চাল বিতরণ করা হয়েছে। খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে আমরা এই কাজটি সম্পন্ন করার চেষ্টা করেছি।