ধর্মপাশায় শিক্ষার্থীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে শিক্ষক গ্রেপ্তার

সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার সুখাইর রাজাপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের রাজাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে শ্লীলতা হানির অভিযোগে ঐ স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো: কাওসার মিয়াকে বুধবার (২৯ অক্টোবর) রাত ১১টা ৩০ মিনিটে ধর্মপাশা পূর্ব বাজার থেকে গ্রেপ্তার করেছে ধর্মপাশা থানা পুলিশ।
বিজ্ঞাপন
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, রবিবার সকালে স্কুলে প্রাইভেট পড়িয়ে অন্য ছাত্রীদের ছুটি দিয়ে তাকে বসতে বলে শিক্ষক কাওসার মিয়া। সকলেই চলে গেলে তাকে একা পয়ে শ্লীলতাহানির ঘটনা ঘটায় ঐ স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো: কাওসার মিয়া। মেয়েটি চিতকার দিয়ে কান্না কাটি করে বাড়িতে গিয়ে মাকে বলে সব ঘটনা। মেয়েটি বাবা মৃত তাই সঙ্গে সঙ্গে তাকে ধরতে পারেনি। এই ঘটনা এলাকার কিছু মানুষকে দিয়ে ধামাচাপা দেওয়া চেষ্টা করে শিক্ষক কাওসার মিয়া।
বুধবার বিকাল থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে এলাকার লোকজন শিক্ষকের বিচার দাবিতে পোস্ট দেয়। সন্ধ্যা সময় এলাকাবাসী ঐ শিক্ষককে আইনের আওতায় এনে গ্রেপ্তার ও ফাঁসির দাবিতে ভিক্ষুভ মিছিল করে প্রশাসনের কাছে দাবি জানায়।
বিজ্ঞাপন
রাজাপুর স্কুলের সাবেক শিক্ষীকা মাসুমা আক্তার শাহীন বলেন, স্কুলের সব বই সে চুরি করে বিক্রি করেছে। স্কুলে সময় মতো আসতো না, আমার ও ছাত্রীদের সঙ্গে খারাপ আচারণ করত। তার বিরুদ্ধে আমি আমার টিও স্যারকে জানিয়েছিলাম।
সুখাইর রাজাপুর দক্ষিণ ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সালাউদ্দিন মাহাতাব বলেন, এই ঘটনা শুনে আমি তাকে জিজ্ঞেস করলে সবকিছু আমার কাছে শিকার করেছে। সে বলেছে আমি ধর্ষণ করিনি। শরীরের বিভিন্ন গোপন জায়গায় হাত দিয়েছি। সে শিক্ষক নামের কলংক তার আইনের মাধ্যমে বিচার হওয়া দরকার।
ধর্মপাশা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ এনামুল হক বলেন, এই ব্যাপারে মেয়ের মা বাদি হয়ে নারী ও শিশু দমন নির্যাতন আইনের ১০ ধারায় একটি মামলা বুধবার সন্ধ্যায় করেছে। আসামি রাজাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো: কাওসার মিয়া। তাকে গতরাত সাড়ে এগারটার সময় পূর্ব বাজার থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে আদালতে পাঠানো হবে।
বিজ্ঞাপন
ধর্মপাশা উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা ইউএনও জনি রায় বলেন, তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে, তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।প্রচলিত আইনে আদালত তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবে।








