ঝিকরগাছায় প্রবাসীর স্ত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার মাগুরা ইউনিয়নের কায়েমকোলার চাঁদা গ্রাম থেকে মালদ্বীপ প্রবাসীর স্ত্রী জেনিয়া খাতুন (২০)-এর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বিজ্ঞাপন
বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) ভোররাতে তার শ্বশুরবাড়ির ঘর থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
জানা যায়, নিহত জেনিয়া খাতুন পৌরসদরের কৃত্তিপুর মাঠপাড়া গ্রামের ছবুর গাজীর মেয়ে এবং মালদ্বীপ প্রবাসী বিল্লাল হোসেনের স্ত্রী। তিন বছর আগে তাদের বিয়ে হয়। দাম্পত্য জীবনে তাদের হাসিব আল আইয়ান নামের ১৬ মাস বয়সী এক পুত্র সন্তান রয়েছে।
আরও পড়ুন: সুন্দরবনে ২২টি হরিণ শিকারের ফাঁদ উদ্ধার
বিজ্ঞাপন
পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, জেনিয়া খাতুনের সঙ্গে তার শ্বশুর-শাশুড়ির পারিবারিক নানা বিষয় নিয়ে প্রায়ই বিরোধ ও ঝগড়া হতো। পারিবারিক কলহের জেরে সে সুখে ছিল না বলে জানা যায়। বুধবার দিবাগত রাত আনুমানিক ২টা ২০ মিনিটের দিকে প্রতিবেশী ইব্রাহিম বাদির (ছবুর গাজী) পরিবারকে ফোন করে জানায়, জেনিয়া ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়েছে।
সংবাদ পেয়ে নিহতের বাবা ও ভাই ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখেন, জেনিয়া খাতুন ঘরের ভেতরে খাটের উপর সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ওড়না দিয়ে ঝুলছে। পরে তারা ওড়না কেটে নিচে নামান।
নিহতের পরিবারের দাবি, এটি আত্মহত্যা নয় বরং পরিকল্পিত হত্যা। জেনিয়ার মা ও স্বজনরা বলেন, গায়ের রঙ একটু চাপা হওয়ায় শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাকে প্রায়ই নির্যাতন করতো। কিছুদিন আগে তাকে বাবার বাড়িতে পাঠানো হলেও পরে স্বামী বিল্লাল ফোনে ক্ষমা চেয়ে আবার নিয়ে যায়।
বিজ্ঞাপন
তারা আরও জানান, মৃত্যুর সময় জেনিয়ার দেহের ভঙ্গি আত্মহত্যার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়— কারণ ঝুলন্ত অবস্থায় তার পা খাটের উপর ভাঁজ করা ছিল, যা স্বাভাবিক আত্মহত্যার ভঙ্গি নয় বলে তারা দাবি করেন।
এ বিষয়ে ঝিকরগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ নুর মোহাম্মদ গাজী বলেন, প্রাথমিকভাবে এটি আত্মহত্যা বলেই মনে হচ্ছে। তবে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
বিজ্ঞাপন
নিহতের পিতা ছবুর গাজী বাদী হয়ে থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করেছেন।







