সুন্দরবনের দুবলারচরে শুরু হলো রাসপূর্ণিমার পুণ্যস্নান

সুন্দরবনের দুবলারচরে শুরু হয়েছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম বৃহৎ ধর্মীয় ও আধ্যাত্মিক উৎসব রাসপূর্ণিমা পূজা ও পুণ্যস্নান।
বিজ্ঞাপন
সোমবার (৩ নভেম্বর) সকাল ৮টার দিকে চাঁদপাই ও ঢাংমারী স্টেশন থেকে বন বিভাগের স্কট টিমের সহযোগিতায় পুণ্যার্থীদের যাত্রা শুরু হয়।
বন বিভাগ জানিয়েছে, এ বছর শুধুমাত্র সনাতন ধর্মাবলম্বী তীর্থযাত্রীদের যাতায়াতের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে বিভিন্ন কৌশলে কিছু ভিন্ন ধর্মাবলম্বীরাও যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। পর্যটকদের প্রবেশ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে এবং এ বছর কোনো ধরনের মেলা আয়োজন করা হবে না। রাসপূর্ণিমা পূজা ও পুণ্যস্নান চলবে আগামী ৫ নভেম্বর পর্যন্ত।
বিজ্ঞাপন

সুন্দরবনের পরিবেশ, বন্যপ্রাণী ও সামগ্রিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বন বিভাগ, পুলিশ, কোস্টগার্ড ও বিজিবির যৌথ টহল দল বনে মোতায়েন রয়েছে। বিশেষ করে হরিণ শিকার ও অবৈধ প্রবেশ রোধে বন বিভাগ এবার কঠোর অবস্থানে আছে।
সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, সোমবার সকাল ৮টায় চাঁদপাই ও ঢাংমারী স্টেশন থেকে পুণ্যার্থীগণ স্কট সহযোগে দুবলারচরের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেছেন। এই প্রথমবার স্কট সহযোগে যাত্রা শুরু হলো। এর মূল উদ্দেশ্য হলো পুণ্যার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং কেউ যেন বনে ঢুকে হরিণ শিকারের সুযোগ না পায়।’
আরও পড়ুন: ‘বাংলাদেশের মানুষ নির্বাচিত সরকার চায়’
বিজ্ঞাপন
বন বিভাগের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, তীর্থযাত্রীদের শুধুমাত্র দিনের বেলাতেই নৌযানে চলাচল করতে হবে এবং নির্ধারিত চেকপোস্ট ছাড়া কোথাও নোঙর করা যাবে না। প্রতিটি নৌযানে লাইফ জ্যাকেট বা বয়া রাখা বাধ্যতামূলক। তীর্থযাত্রীদের জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি সংযুক্ত করে আগাম অনুমতি নিতে হবে। অনুমতিপত্রে নির্ধারিত রুট ও সিলমোহর থাকতে হবে এবং প্রতিটি নৌযানকে আলোরকোল কন্ট্রোল রুমে রিপোর্ট করতে হবে।

উল্লেখ্য, প্রতিবছর রাসপূর্ণিমা উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাজারো তীর্থযাত্রী দুবলারচরে সমবেত হন। ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের পাশাপাশি পরিবেশ সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে এবছরও বন বিভাগ কঠোর নজরদারিতে রয়েছে।








