টঙ্গীতে জোড় ইজতেমায় দুই লাখ মুসল্লি, ঘুমন্ত অবস্থায় একজনের মৃত্যু

গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগ নদের তীরে শুরু হয়েছে ৫ দিনব্যাপী জোড় ইজতেমা। শুরায়ে নেজামের আয়োজনে অনুষ্ঠিত এই জোড় ইজতেমার জুম্মার নামাজে অংশ নিতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রায় দুই লক্ষাধিক মুসল্লি অংশগ্রহণ করেন।
বিজ্ঞাপন
এর আগে শুক্রবার (২৮ নভেম্বর) বাদ ফজর আমবায়নের মধ্য দিয়ে শুরু হয় ৫ দিনের এই জোড় ইজতেমা। আগামী ২ ডিসেম্বর আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে শুরায়ে নেজামের আয়জনে জোড় ইজতেমা।
এদিকে, জোড় ইজতেমা অংশ নিতে এসে নোয়াখালীর জেলার সদর উপজেলার সুলতান আহমেদের ছেলে নুর আলম (৮০) মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবার রাতে ময়দানে বার্ধক্যজনিত কারণে তার মৃত্যু হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন জোড় ইজতেমার আয়োজক কমিটির মিডিয়া সমন্বয়কারী মোহাম্মদ হাবিবুল্লাহ রায়হান।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন: তরুণ ফুটবলার মাসুম আর নেই
তিনি বলেন, জুম্মার নামাজের পর ময়দানে জানাজা শেষে মরদেহ তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
নরসিংদীর থেকে জোড় ইজতেমায় অংশ নিতে আসা মুসিল্লি শেখ কামরুল ইসলাম বলেন, প্রতিবছর এখানে এসে আল্লাহর নৈকট্য অনুভব করি। এত বড় জমায়েতে মুসল্লিরা একত্রিত হয়ে নামাজ আদায় করছে, এটি আমাদের হৃদয়ে ঈমানকে জোরদার করছে।
বিজ্ঞাপন
চট্টগ্রামের রাউজান থেকে আসা রুবেল আহমেদ বলেন,এখানে এসে আমি ধর্মীয় জ্ঞান, ভক্তি ও সহমর্মিতা অনুভব করছি। বিদেশি মুসল্লিদের সঙ্গে মিলিত হওয়াও আমাদের ইসলামী ঐক্যকে শক্তিশালী করছে।
জোড় ইজতেমা আয়োজক কমিটি সূত্রে জানা গেছে, বৃহৎ এই জুম্মার নামাজের ইমামতি করেছেন বাংলাদেশের শীর্ষ মুরুব্বি হাফেজ মাওলানা জো’বায়ের আহমেদ।
এছাড়াও বয়ান করেছেন বাংলাদেশের মাওলানা ওমর ফারুক, দিল্লির মাওলানা আব্দুর রহমান, পাকিস্তানের মাওলানা আহমদ বাটলা এবং বাংলাদেশের মাওলানা ফারুক।
বিজ্ঞাপন
এবারের জোড় ইজতেমায় বিশ্বের ১৭টি দেশের ৪৩৬ জন বিদেশি মেহমান অংশগ্রহণ করেছেন। আয়োজক কমিটির তথ্য অনুযায়ী পাকিস্তান, ভারত, কিরগিজস্তান, কানাডা, মিয়ানমার, ইয়েমেন, চীন, সৌদি আরব, তিউনিসিয়া, যুক্তরাজ্য, ইটালি, নাইজার, আফগানিস্তান, আমেরিকা, জার্মানি ও জাপান থেকে মুসল্লিরা ময়দানে উপস্থিত ছিলেন।
আয়োজক কমিটির মিডিয়া সমন্নয়কারী হাবিবুল্লাহ রায়হান বলেন,এই জোড় ইজতেমার মূল উদ্দেশ্য হলো ধর্মীয় শিক্ষার প্রচার ও মুসল্লিদের মধ্যে সহমর্মিতা ও একাত্মতার বার্তা পৌঁছানো। আমরা মাঠে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা, খাদ্য, পানি ও চিকিৎসা সুবিধা নিশ্চিত করেছি।
বিজ্ঞাপন
টঙ্গী পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্তকর্তা (ওসি) মো. হারুন অর রশিদ জানান, জোড় ইজতেমার নিরাপত্তা ব্যবস্থা জিএমপি পুলিশের পাশাপাশি এপিবিএনের দুটি প্লাটুন মাঠে দায়িত্বে রয়েছে। এছাড়াও আবৃত্তিকার ঘটনা প্রতিহত করতে ড্রোনসহ বিভিন্নভাবে নজরদারি করা হচ্ছে।








