পাহাড়ে সন্ত্রাসীদের ঠাঁই হবে না : রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হাসান মাহমুদ

তিনি ঘোষণা করেন, অচিরেই পাহাড় থেকে সন্ত্রাসী কার্যক্রম নির্মূল করা হবে এবং শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে সেনাবাহিনী সর্বদা প্রস্তুত।

রিজিয়ন কমান্ডার বলেন, পাহাড়ে শান্তি ও সম্প্রীতির পরিবেশ অটুট রাখতে সেনাবাহিনী নিরলসভাবে কাজ করছে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, নিরাপত্তা ও উন্নয়নে পাহাড়ি-বাঙালি জনগোষ্ঠীর জন্য সেনাবাহিনীর প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজি দমনে কঠোর অবস্থান নেওয়া হয়েছে; অস্ত্রের ঝনঝনানি ও চাঁদাবাজির দিন শেষ।

পাহাড়ি-বাঙালি মিলিত আবাসে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে সন্ত্রাসীদের উৎখাত করা হবে।

এই মতবিনিময় সভা শুধু শুভেচ্ছা বিনিময়ের অনুষ্ঠান নয়; বরং এটি ছিল পাহাড়ে শান্তি প্রতিষ্ঠার দৃঢ় অঙ্গীকারের প্রকাশ। স্থানীয় জনগণের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগের মাধ্যমে সেনাবাহিনী তাদের আস্থা অর্জন করতে চায়। পাহাড়ে দীর্ঘদিনের অস্থিরতা ও সন্ত্রাসী কার্যক্রমের বিরুদ্ধে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সমন্বিত উদ্যোগ নেওয়ার বার্তা দিয়েছেন রিজিয়ন কমান্ডার।

সভায় উপস্থিত ছিলেন খাগড়াছড়ি ডিজিএফআই কর্ণেল জিএস কর্ণেল আতিক, খাগড়াছড়ি জোন কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. খাদেমুল ইসলাম, লোগাং ৩ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল রবিউল ইসলাম, রিজিয়নের স্টাফ অফিসার কাজী মোস্তফা আরেফিন, পানছড়ি সাব-জোন কমান্ডার মেজর রিফাতসহ সেনাবাহিনী ও বিজিবির উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

এই বক্তব্য ও সভা থেকে স্পষ্ট হয় যে, সেনাবাহিনী পাহাড়ে শান্তি প্রতিষ্ঠায় শুধু সামরিক পদক্ষেপ নয়, সামাজিক ও উন্নয়নমূলক কার্যক্রমকেও সমান গুরুত্ব দিচ্ছে। জনগণের সঙ্গে সরাসরি মতবিনিময় তাদের আস্থা অর্জনের কৌশল। সন্ত্রাস দমনে কঠোর অবস্থান এবং উন্নয়ন কার্যক্রমের সমন্বয় পার্বত্য চট্টগ্রামে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য অপরিহার্য।