হাতিবান্ধা সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক আহত

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে রনি মিয়া (২২) নামের এক চোরাকারবারি আহত হয়েছে। আহত রনি মিয়া রংপুরে একটি বেসরকারি ক্লিনিকে গোপনে চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে জানা গেছে।
বিজ্ঞাপন
সোমবার (২২ ডিসেম্বর) ভোরে হাতীবান্ধা উপজেলার দইখাওয়া এলাকার গোতামারী সীমান্তের ৯০২নং পিলার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। বিএসএফের গুলিতে আহত রনি মিয়া ওই এলাকার হারুন অর রশীদের ছেলে।
জানা গেছে, সোমবার ভোরে ৪-৫ জন চোরাকারবারি গরু পারাপারের উদ্দেশ্যে দইখাওয়া সীমান্তের ৯০২নং পিলার এলাকা দিয়ে ভারতের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে। এ সময় উত্তর গোতামারী এলাকায় অনুপ্রবেশ করলে ভারতীয় ৭৮ বিএসএফের শিষরাম ক্যাম্পের একটি টহল দল গরু চোরাকারবারীদের উদ্দেশ্য করে গুলি করে। এতে বাংলাদেশী নাগরিক চোরাকারবারি রনি মিয়া আহত হয়।
বিজ্ঞাপন
এ সময় রনি মিয়ার সঙ্গীরা তাকে উদ্ধার করে ভোর রাতেই চিকিৎসার জন্য রংপুরে নিয়ে যায়। বর্তমানে তিনি গোপনে চিকিৎসাধীন আছেন।
লালমনিরহাট ব্যাটালিয়ন (১৫ বিজিবি)-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মেহেদী ইমাম জানান, বিষয়টি জানার পরপরই রনি নামে ওই ব্যক্তির বাড়িতে বিজিবির একটি দল পাঠানো হয়েছিল। তবে তার পরিবার বিষয়টি অস্বীকার করেছে। ধারণা করা হচ্ছে, তিনি রাবার বুলেটের আঘাতে আহত হয়ে থাকতে পারেন। এ ব্যাপারে বিএসএফের কাছে জানতে চাওয়া হলে তারাও কোনো তথ্য স্বীকার করেনি।
তিনি আরও জানান, পরিবারের দাবি অনুযায়ী রনি বর্তমানে কাজের প্রয়োজনে রংপুরে অবস্থান করছেন। মূলত আইনি জটিলতা বা মামলার ভয়ে সীমান্ত এলাকায় পরিবারগুলো প্রায়ই এ ধরনের তথ্য গোপন করে থাকে। তবে প্রকৃত ঘটনা উদ্ঘাটনে বিজিবির পক্ষ থেকে নিয়মিত খোঁজখবর রাখা হচ্ছে।








