হাতিয়ায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে হত্যাকাণ্ডে ৩০ জনের বিরুদ্ধে মামলা

নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় উপজেলার চরকিং ও সুখচর ইউনিয়ন সংলগ্নে মেঘনা নদীর জাগলার চরে জমি দখলকে কেন্দ্র করে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে ৫ জন নিহত হয়। এ ঘটনায় মামলা ৩০ জনকে আসামির করে মামলা হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
এই মামলায় ৩০ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ১০-১২ জনকে আসামি করা হয়েছে। নিহত মোবারক হোসেন শিহাবের চাচা এবং নিখোঁজ শামছুদ্দিনের ভাই আবুল বাশার বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) দুপুরে হাতিয়া থানায় এই মামলাটি দায়ের করেন যার।
বাদী আবুল বাশার জানান, নিহত ভাতিজার ময়নাতদন্ত ও দাফনকাজ সম্পন্ন করতে দেরি হওয়ায় মামলা করতে কিছুটা বিলম্ব হয়েছে। তিনি ঘটনার মূল হোতাদের দ্রুত গ্রেফতার করে শাস্তির দাবি জানান।
আরও পড়ুন: দিপু হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার আরও ৬
বিজ্ঞাপন
নিখোঁজ শামছুদ্দিনের স্ত্রী মাহফুজা বেগম অভিযোগ করেন, ‘মনির মেম্বারসহ কয়েকজন আমার স্বামীকে চরে জমি দেওয়ার কথা বলে ডেকে নিয়ে যায়। পরদিন খবর পেয়ে আমার ছেলে শিহাব তার বাবাকে ফিরিয়ে আনতে চরে যায়। কিন্তু সেখানে আমার ছেলেকে হত্যা করা হয়। আমি ছেলের লাশ পেলেও স্বামীর খোঁজ এখনও পাইনি। আমি এই হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই।’
নিহত মোবারক হোসেন শিহাব (২৩) সুবর্ণচর উপজেলার সৈকত সরকারি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির মানবিক বিভাগের ছাত্র ছিলেন।
বিজ্ঞাপন
উল্লেখ, গত মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) সকালে জাগলারচরের আধিপত্য বিস্তার নিয়ে আলাউদ্দিন বাহিনী ও শামছু বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও স্থানীয় সূত্র জানায়, এ পর্যন্ত ৫ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে এবং ৭-৮ জনকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। তবে শামছু বাহিনীর প্রধান শামছুসহ আরও দুইজন এখনো নিখোঁজ রয়েছে।







