চোর সন্দেহে যুবককে হাত-পা বেঁধে পিটিয়ে হত্যা, গ্রেপ্তার ৪

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে চোর সন্দেহে এক মোটরসাইকেল মেকানিককে হাত-পা বেঁধে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বিজ্ঞাপন
শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) রাতে বাঞ্ছারামপুর পৌরসভার আসাদনগর এলাকায় এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় বাঞ্ছারামপুর মডেল থানা পুলিশ ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- আসাদনগর গ্রামের শফিকুল ইসলাম (৪৪), মো. জাহিদুল ইসলাম রবিন (১৯), মো. রিমন মিয়া (৩০) এবং মো. খাইরুন ইসলাম ওরফে হৃদয় (২০)।
নিহত ব্যক্তির নাম মো. ফোরকান মিয়া (৩৫)। তিনি বাঞ্ছারামপুর উপজেলার জগন্নাথপুর গ্রামের বাসিন্দা এবং পেশায় একজন মোটরসাইকেল মেকানিক। তিনি বাঞ্ছারামপুর পৌরসভার মাতুর বাড়ির মোড়ে অবস্থিত একটি মোটরসাইকেল গ্যারেজে কাজ করতেন।
বিজ্ঞাপন
পুলিশ ও মামলা সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) রাতে পৌরসভার আসাদনগর বাজারে অবস্থিত ‘ভাই ভাই’ নামে একটি ভাঙারি দোকানে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে।
অভিযোগ রয়েছে, জাহিদুল ইসলাম রবিন ও খাইরুন ইসলাম ওরফে হৃদয় চোর সন্দেহে ফোরকান মিয়াকে তার বাড়ি থেকে ডেকে এনে দোকানের ভেতরে নিয়ে যান। পরে দোকান মালিক শফিকুল ইসলামসহ অন্য আসামিরা লোহার শিকল দিয়ে ফোরকানের হাত-পা বেঁধে স্টিলের পাইপ, লোহার হাতুড়ি ও অ্যালুমিনিয়ামের গামলা দিয়ে বেধড়ক মারধর করেন। একপর্যায়ে আসামিরা মোবাইল ফোনে নিহতের স্ত্রী শারমিন আক্তারকে কল করে মারধরের চিৎকার শোনান। ফোনে ফোরকান মিয়া স্ত্রীকে জানান, তাকে নির্মমভাবে পেটানো হচ্ছে।
বিজ্ঞাপন
পরে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে স্থানীয় এক রিকশাচালকের মাধ্যমে তাকে বাঞ্ছারামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক ফোরকান মিয়াকে মৃত ঘোষণা করেন।
খবর পেয়ে পুলিশ হাসপাতালে গিয়ে মরদেহের সুরতহাল প্রস্তুত করে। নিহতের শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে।
বিজ্ঞাপন
এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী শারমিন আক্তার বাদী হয়ে বাঞ্ছারামপুর মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ইয়াছিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে ৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মামলাটি তদন্তাধীন রয়েছে।








