হাদির হত্যার প্রকাশ্যে বিচার চেয়ে পাগলা মসজিদে চিরকুট

কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দানবাক্সে সম্প্রতি খোঁজ পাওয়া একটি চিরকুট সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ওই চিরকুটে লেখা ছিল, ‘হাদি হত্যার প্রকাশ্যে বিচার চাই’।
বিজ্ঞাপন
শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) মসজিদের ১৩টি দানবাক্স খোলা হয়। এই প্রক্রিয়ায় উদ্ধার করা হয়েছে রেকর্ড ৩৫ বস্তা নগদ টাকা এবং বিপুল পরিমাণ স্বর্ণালঙ্কার। পাশাপাশি বিভিন্ন মনোবাসনা পূরণের উদ্দেশ্যে লেখা চিঠি ও চিরকুটও পাওয়া গেছে।
এর আগে এমন দানবাক্সের চিঠি বা চিরকুট সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
বিজ্ঞাপন
একটি চিঠিতে লেখা ছিল, ‘ডাইনি হাসিনাকে তার কর্মের শাস্তি না দেখা পর্যন্ত আমাকে বাঁচিয়ে রেখ আল্লাহ।’ আরেকটি চিরকুটে একজন নারী প্রার্থনা করেছিলেন, ‘হে আল্লাহ, আপনি আমার স্বামীকে পাগলা মসজিদের ওসিলাতে একটি ভালো চাকরির ব্যবস্থা করে দিন।’
বান্ধবী ও দানবাক্স খোলার কাজে অংশগ্রহণ করেন কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মিজাবে রহমত, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ নাহিদ হাসান খান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) জেসমিন আক্তার, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার কামরুল হাসান মারুফ, রূপালী ব্যাংকের সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) মোহাম্মদ আলী হারেছীসহ মাদ্রাসার শিক্ষার্থী ও ব্যাংক কর্মকর্তারা। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীরও ২০ জন সদস্য এই কাজে অংশ নেন।
বিজ্ঞাপন
কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও পাগলা মসজিদ কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ আসলাম মোল্লা বলেন, পাগলা মসজিদ ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের অন্যতম পবিত্র স্থান। দানের অর্থ দিয়ে আমরা একটি দৃষ্টিনন্দন মসজিদ কমপ্লেক্স তৈরি করব, যেখানে একসাথে ৩০ হাজার মুসল্লি জামাতে নামাজ আদায় করতে পারবেন। মসজিদের নকশা প্রণয়নের কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে এবং খুব শিগগিরই নির্মাণ কাজ শুরু হবে।
পাগলা মসজিদ নরসুন্দা নদীর তীরে অবস্থিত এবং এতে ১৩টি লোহার দানবাক্স রয়েছে। সাধারণত তিন মাস অন্তর দানবাক্সগুলো খোলা হয়। এবার খোলার পর পাওয়া রেকর্ড পরিমাণ অর্থ এবং চিরকুটগুলো স্থানীয় জনগণ ও ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের মধ্যে ব্যাপক মনোযোগ সৃষ্টি করেছে।








