পাগলা মসজিদে ৩ ঘণ্টায় গণনা হলো ৮ কোটি ২৩ লাখ টাকা

রূপালী ব্যাংক কিশোরগঞ্জ শাখার ডিজিএম রফিকুল ইসলাম এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, সকাল ৭টায় দানবাক্সগুলো খোলা হয়। এরপর টাকা বস্তায় ভরে মসজিদের দ্বিতীয় তালার মেঝেতে আনা হয় এবং সকাল ৯টায় গণনা কার্যক্রম শুরু হয়।

আরও পড়ুন: পাগলা মসজিদের দানবাক্সে পাওয়া গেছে ৩৫ বস্তা টাকা, চলছে গণনা

গণনার কাজে মসজিদ ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য, মসজিদ কমপ্লেক্সে অবস্থিত মাদরাসা ও এতিমখানার শিক্ষক-শিক্ষার্থী, পার্শ্ববর্তী আল জামিয়াতুল এমদাদিয়া মাদরাসার শিক্ষার্থী, রূপালী ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ প্রায় ৫০০ জন অংশগ্রহণ করেন। অন্যান্যবারের তুলনায় এবার দানবাক্স খোলার সময় অতিরিক্ত ৩টি টিনের বাক্সও ব্যবহৃত হয়েছে।

দানবাক্স খোলার সময় কিশোরগঞ্জ জেলা প্রশাসক ও পাগলা মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ আসলাম মোল্লা, পুলিশ সুপার ড. এস এম ফরহাদ হোসেন, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও দানবাক্স খোলা কমিটির আহ্বায়ক মো. এরশাদুল আহমেদ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ নাহিদ হাসান খানসহ বিপুল সংখ্যক পুলিশ, সেনাবাহিনী ও আনসার সদস্য উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন: ‎সূর্য যেন ছুটি নিয়েছে, ঠান্ডায় হোসেনপুরে বিপর্যস্ত জনজীবন

এমনকি চলতি বছরের ৩০ আগস্ট দানবাক্স খোলার সময় রেকর্ড ১২ কোটি ৯ লাখ ৩৭ হাজার ২২০ টাকা পাওয়া গিয়েছিল। সেই সময় টাকার পাশাপাশি হীরা, স্বর্ণালঙ্কার ও বৈদেশিক মুদ্রা পাওয়া গেছে।

পাগলা মসজিদের দান থেকে প্রাপ্ত অর্থ মসজিদ, মাদরাসা, এতিমখানা এবং বিভিন্ন সমাজকল্যাণমূলক কাজে ব্যয় করা হয়।