Logo

বিদেশি ফল প্যাশন মহেশপুরের মাটিতে প্রথম চাষ

profile picture
উপজেলা প্রতিনিধি
ঝিনাইদহ
২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ১১:১৪
43Shares
বিদেশি ফল প্যাশন মহেশপুরের মাটিতে প্রথম চাষ
ছবি: প্রতিনিধি

ঝিনাইদহের মহেশপুরে চাষ হচ্ছে দক্ষিণ আফ্রিকা, ব্রাজিল ও ফিলিপাইনের জনপ্রিয় ফল প্যাশন বা ট্যাং। তবে অঞ্চলভেদে এর ভিন্ন নামও আছে। অনেকে বলে আনারকলি আবার অনেকে বলে ট্যাং।

বিজ্ঞাপন

দক্ষিণ আফ্রিকায় এটি পরিচিত পারপেল গ্রানাডিলা নামে। ফলটির বৈজ্ঞানিক নাম প্যাসিফ্লোরা ইডিউলাস। মিষ্টি স্বাদ ও উপকারিতার কারণে অনেক দেশেই ফলটি বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। তবে ঝিনাইদহ জেলার মাটিতে প্রথম এই ফলটি বানিজ্যিক ভাবে চাষ শুরু করেছেন জেলার মহেশপুর উপজেলার পান্তাপাড়া গ্রামের নুরুল হাসানের ছেলে তরুন কৃষক মাহমুদুল হাসান ষ্টালিন।

জানা যায়, ৭ বছর আগে কৃষি কাজে জরিয়ে পড়েন ষ্টালিন। একে একে চাষ করতে থাকেন পেয়ারা, ড্রাগন, কমলা কুল ও মাল্টা। ইউটিউব দেখে আগ্রহ জাগে প্যাশন ফল চাষে। যশোর থেকে ৫টি চারা সংগ্রহ করে পরীক্ষা মূলকভাবে চাষ শুরু করেন। বর্তমানে তার আড়াই বিঘা প্যাশনসহ ২৫ বিঘা জমিতে পেয়ারা, ড্রাগন, কমলা, কুল ও মাল্টা রয়েছে।

মাহমুদুল হাসান ষ্টালিন বলেন, বানিজ্যিকভাবে প্যাশন ফল আমি চাষ শুরু করেছি। এটি একটি লাভজনক চাষ। অল্প খরচে কোনো সার, সেচ ও কীটনাশক ছাড়াই জৈব সার দিয়ে এই চাষ করা যায়। শুরুতে আমি ৫টি চারা দিয়ে পরীক্ষা মূলক চাষ শুরু করি। বর্তমানে আড়াই বিঘা জমিতে প্যাশনসহ ২৫ বিঘা জমিতে ফলের চাষ রয়েছে।

বিজ্ঞাপন

তিনি আরও বলেন প্যাশন গাছে বছরে দুবার ফল ধরে। প্রতি বিঘায় ১ লক্ষ ফল পাওয়া যায়। প্রতি পিচ ফল শুরুর দিকে ৫-৭ টাকা বিক্রি করলেও বর্তমানে ১৫-২০ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে। ফল বিক্রি কোনো ঝামেলা নেই, চিটাগাংয়ের ব্যবসায়ীরা জমি থেকে এসে নিয়ে যাচ্ছে। পূর্ণাঙ্গ ফল গোলাকার বা ডিম্বাকার। কাঁচা অবস্থায় এটি সবুজ হয়। তবে পরিণত অবস্থায় হলুদ বা গাঢ় বেগুনি রং ধারণ করে। ফলটি অত্যন্ত পুষ্টিগুণসম্পন্ন। হাঁপানি ও ডায়াবেটিক রোগীদের জন্যও এই ফল বিশেষ উপকারী।

স্থানীয চাষী হালিম বলেন, এই ফলটি আমার ৭০ বছর বয়সে কখনো দেখিনি ষ্টালিন প্রথম আমাদের মাঠে চাষ করে। এই ফল কোথায় বিক্রি করবে কারা খাবে এটা ভাবতাম কিন্তু এখন দেখছি ফল বিক্রি করার জন্য বাজারে নিয়ে যেতে হয়না। জমি থেকে ব্যাপারীরা কিনে নিয়ে যাচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

সোহেল নামের আরেক চাষী বলেন, অল্প খরচে এই ফল চাষ করা যায় এবং দামেও বিক্রি করা যায়। সেজন্য আমি এই ফল চাষ করব ভেবে ষ্টালিনের কাছে পরামর্শ নিচ্ছি।

এ বিষয়ে মহেশপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মনিরা ইয়াসমিন বলেন, ফলটি বিদেশি এবং কেউ এই ফল চাষে আগ্রহী হলে আমরা পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করব।

জেবি/এসএ/এএস
Logo

সম্পাদক ও প্রকাশকঃ

মোঃ শফিকুল ইসলাম ( শফিক )

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ৫৭, ময়মনসিংহ লেন, ২০ লিংক রোড, বাংলামটর, ঢাকা-১০০০।

ফোনঃ 02-44615293

ই-মেইলঃ dailyjanobaninews@gmail.com; dailyjanobaniad@gmail.com

জনবাণী এর সকল স্বত্ব সংরক্ষিত। কপিরাইট © ২০২৫

Developed by: AB Infotech LTD