শিবচরে কমলার বাগানে সাফল্যের জোয়ার

৯ বিঘা জমিতে গড়ে ওঠা সমন্বিত ফল ও সবজির বাগান।
বিজ্ঞাপন
পেয়ারা, মাল্টা ও ড্রাগনসহ নানা ফলের মাঝে দেড় বিঘাজুড়ে রয়েছে কমলার চাষ। ৬ বছর আগে লাগানো এই কমলা গাছে গত দুই বছর ধরে মিলছে ফলন। ছোটজাতের কমলা গাছে থোকায় থোকায় ঝুলছে ফল। পরিশ্রম, সঠিক পরিকল্পনা আর পরিচর্যার ফলে কমলা চাষে সাফল্যের গল্প লিখছেন শিবচরের যুবক মো. রাসেল হোসেন।
দত্তপাড়া মৃধাকান্দি এলাকায় লীজ নেওয়া জমিতে রাসেল শুরু করেন সমন্বিত বাগান কার্যক্রম। বাগানে রয়েছে মাল্টা, পেয়ারা, ড্রাগনসহ বিভিন্ন সবজির উৎপাদন। দেড় বিঘা জমিতে মোট ৬০টি কমলা গাছ লাগানো হয়। কয়েকটি মারা গেলেও বাকিগুলোতে ভালো ফলন মিলছে। স্থানীয় বাজারে এই কমলা বিক্রি হচ্ছে ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা কেজি দরে। ফরমালিনমুক্ত হওয়ায় চাহিদা আরও বেশি।
আরও পড়ুন: পূবাইলে বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত
বিজ্ঞাপন
জানা যায়, এলাকায় এভাবে কমলার বাগান সাধারণত দেখা যায় না। গত বছর থেকে রাসেলের বাগানে প্রচুর কমলা ধরে। স্বাদে মিষ্টি ও হালকা টক হওয়ায় ক্রেতাদের মন জয় করেছে দেশীয় এ কমলা। শিবচরের নানা প্রান্ত থেকে মানুষ বাগানে এসে কমলা কিনছেন।
কমলা কিনতে আসা মো. শামীম বলেন, ‘সরাসরি কমলার বাগান দেখার অভিজ্ঞতা আমার ছিল না। এখানে এসে গাছপাকা কমলা খেয়ে দেখলাম বেশ মিষ্টি। তাই দুই কেজি কিনলাম। ফরমালিনমুক্ত হওয়ায় চাহিদাও বেশি।’
চাষি মো. রাসেল হোসেন বলেন, ‘বিদেশ থেকে ফিরে বাবার বাগান দেখভাল শুরু করি। চাকরি করলেও বাগান নিয়ে আমার আলাদা স্বপ্ন ছিল। কমলার বাগান করে এখন ভালো সাড়া পাচ্ছি। অনলাইনেও বিক্রি হয়, আবার অনেকে বাগানে এসেও কিনে নেয়।’
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন: ভূমিকম্পে নিহত বাবা-ছেলের দাফন সম্পন্ন
রাসেল আরও জানান, বাগান করতে শুরুর দিকে খরচ বেশি হলেও পরবর্তীতে খরচ কম। নিয়মিত পরিচর্যা দিলে ভালো ফলন আসে এবং লাভবান হওয়া যায়।
শিবচর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘রাসেলের কমলার বাগানে ভালো ফলন এসেছে। কৃষি বিভাগ সবসময় সহযোগিতা দিতে প্রস্তুত। চাইলে কম খরচে মানসম্পন্ন চারা ও কৃষিঋণও দেয়া হবে।’








