বর্ষাকে দেখতে এসে আটক মামা, ছাড়াতে এলেন ফুফু প্রিয়াঙ্কা

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) ছাত্রদল নেতা মো. জোবায়েদ হোসেন হত্যা মামলায় পুলিশ হেফাজতে থাকা অভিযুক্ত ছাত্রী বর্ষার মামা ডা. ওয়াহিদকে মুক্ত করার উদ্দেশ্যে সাংবাদিক পরিচয়ে কয়েকজন ব্যক্তিকে থানায় নিয়ে যান বলে জানা গেছে।
বিজ্ঞাপন
সোমবার (২০ অক্টোবর) রাত ৯টার দিকে পুরান ঢাকার বংশাল থানায়।
থানা সূত্রে জানা যায়, রাত ৯টার দিকে কয়েকজন ব্যক্তি নিজেদের বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিনিধি পরিচয়ে বংশাল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শফিকুল ইসলামের কক্ষে প্রবেশ করেন।
তাদের মধ্যে ছিলেন সকালের সময়ের এইচ. এম. রকি, বাংলার সমাচারের মো. সোহেল রানা, ঢাকা এক্সপ্রেসের মো. বদরুজ্জামান তালুকদার, শেষ খবরের বি.এম. আশিক হাসানসহ আরও কয়েকজন।
বিজ্ঞাপন
এ সময় প্রিয়াঙ্কা নামের এক নারী নিজেকে পুলিশ হেফাজতে থাকা ছাত্রী বর্ষার ফুফু হিসেবে পরিচয় দিয়ে দাবি করেন, ‘বর্ষার মামা রাতে খাবার দিতে এসে ভুলবশত আটক হয়েছেন।’ তিনি ওসির কাছে জানতে চান, আটক ব্যক্তিকে মুক্ত করার কোনো উপায় আছে কি না।
এ বিষয়ে বংশাল থানার ওসি রফিকুল ইসলাম বলেন, আমরা তদন্তের স্বার্থে কাউকে আটক করেছি। এখনই আলাদা আলাদা বিষয়ে মন্তব্য করা সম্ভব নয়। তদন্ত শেষে পুরো ঘটনার বিস্তারিত জানানো হবে।
বিজ্ঞাপন
তিনি আরও জানান, তদন্ত সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত কাউকে অবৈধভাবে আটকে রাখার বিষয়টি সত্য নয়।
এর আগে রবিবার (১৯ অক্টোবর) বিকেলে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদল নেতা মো. জোবায়েদ হোসেন পুরান ঢাকার আরমানিটোলার একটি বাসায় ছুরিকাঘাতে খুন হন।
বিজ্ঞাপন
নুরবক্স লেনের ওই বাসার তিনতলায় ছাত্রী বর্ষাকে টিউশন করাতে যেতেন জোবায়েদ। বিকেল ৪টা ৪৫ মিনিটের দিকে বাসাটির সিঁড়ি ও তৃতীয় তলায় রক্তাক্ত অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, নিহত জোবায়েদ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৯–২০ শিক্ষাবর্ষের পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী এবং শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সদস্য ছিলেন। তিনি একই সঙ্গে জবিস্থ কুমিল্লা জেলা ছাত্র কল্যাণ পরিষদের সভাপতি পদে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
অন্যদিকে, অভিযুক্ত ছাত্রী বর্ষার মামা ডা. ওয়াহিদকে ঘটনার পরদিন ভোরে থানার পেছন দিক থেকে পুলিশ হেফাজতে নেয়। পুলিশের দাবি, তখন তার কাছে কোনো খাবার বা আনুষঙ্গিক সামগ্রী কোন কিছুই ছিল না।