স্বামী রেখে একের পর এক পরকিয়ায় জড়ান মার্জিয়া

স্বামী রেখে নিজেকে অবিবাহিত পরিচয়ে একের পর এক সম্পর্ক গড়ে তুলেছেন মার্জিয়া খাতুন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ভেঙে গেছে নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার মামুনুর রশীদ ও মার্জিয়ার ১২ বছরের দাম্পত্য জীবন।
বিজ্ঞাপন
২০১৩ সালে পরিচয়ের মাধ্যমে প্রেমে জড়ান মামুনুর রশীদ ও মার্জিয়া। পরে পারিবারিক নাটকীয়তার মধ্য দিয়ে তারা বিয়ে করেন। তখন বয়স কম থাকায় তাৎক্ষণিকভাবে কাবিন সম্পন্ন না হলেও পরে নিয়ম মেনে বিয়ের সব আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়।
মামুনুর রশীদ জানান, দরিদ্র পরিবারের মেয়ে হওয়া সত্ত্বেও মার্জিয়ার মান-সম্মানের কথা ভেবে তিনি তাকে বিয়ে করেন। এমনকি স্ত্রী ও শ্বশুরবাড়ির জন্য নিজ উদ্যোগে একটি ভালো ঘর তৈরি করে দেন।
স্ত্রীর পড়াশোনার প্রতি আগ্রহ দেখিয়ে মামুন তাকে এসএসসি ও এইচএসসি পাশ করান। পরে মার্জিয়া ঢাকায় উচ্চশিক্ষার ইচ্ছা প্রকাশ করলে স্বামী নিজের ল্যাপটপ বিক্রি করে ভর্তি ফি জোগাড় করে তাকে ডেফোডিল ইউনিভার্সিটির জার্নালিজম বিভাগে ভর্তি করান। ঢাকায় কষ্ট না পায়—এজন্য হোস্টেলের বদলে ফ্ল্যাট ভাড়া করে দেন মামুন।
বিজ্ঞাপন
তবে মামুনের অভিযোগ, ঢাকায় এসে বিলাসবহুল জীবনের প্রলোভনে বদলে যান মার্জিয়া। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক রনি নামের এক ব্যক্তিসহ একাধিকজনের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে ওঠে তার। ২০১৯ সালে প্রথম এসব অনৈতিক কর্মকাণ্ডের কথা জানতে পারেন মামুন। তখন ক্ষমা চেয়ে নতুন করে সংসার শুরু করলেও কিছুদিন পর আবারও আগের মতো আচরণ শুরু হয় বলে দাবি করেন তিনি।
সম্প্রতি স্ত্রীকে অফিসে নামিয়ে দিতে গিয়ে সহকর্মীদের মাধ্যমে জানতে পারেন, মার্জিয়া সেখানে নিজেকে অবিবাহিত পরিচয়ে পরিচিত করান। এরপর ফোন চেক করে স্ত্রীর একাধিক সম্পর্কের প্রমাণ পান মামুন।
ঘটনার পরপরই মার্জিয়া ও তার মা নাটোর থেকে ঢাকায় চলে আসেন এবং পরে স্বামীকে ডিভোর্স দেন বলে জানা গেছে।
বিজ্ঞাপন
মামুনের অভিযোগ, ১২ বছরের সংসারে বিভিন্ন কৌশলে প্রায় দেড় কোটি টাকা নিয়েছেন তার স্ত্রী। এছাড়া পরিচয়ের সুযোগে অফিসের সহকর্মী, দোকানদারসহ বিভিন্নজনের কাছ থেকেও অর্থ আদায় করতেন বলে দাবি তার।
এ বিষয়ে মার্জিয়া বা তার পরিবারের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে এলাকাবাসীর দাবি, তাদের পারিবারিক বিরোধ দীর্ঘদিনের এবং স্থানীয়ভাবে সমাধানের উদ্যোগ ব্যর্থ হয়।