নাসা গ্রুপের কর্মীদের বেতন দিতে ৮৬ কোটি টাকা অবমুক্ত

নাসা গ্রুপের কর্মচারীদের বকেয়া বেতন পরিশোধের জন্য গ্রুপটির চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার ও তার স্ত্রীর নামে থাকা দুটি বিও অ্যাকাউন্ট থেকে শেয়ার বিক্রির অনুমতি দিয়েছে আদালত। এসব অ্যাকাউন্টে মোট ৮৬ কোটি ৮৫ লাখ ২৪ হাজার ৫৯৫ টাকার শেয়ার রয়েছে।
বিজ্ঞাপন
বুধবার (৮ অক্টোবর) ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ সাব্বির ফয়েজ এ সংক্রান্ত আদেশ দেন। নজরুল ইসলাম মজুমদার বর্তমানে দুর্নীতির মামলায় কারাগারে রয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন নাসা গ্রুপের শ্রমিক-কর্মকর্তাদের পক্ষে আইনজীবী ইকতান্দার হোসাইন হাওলাদার।
আরও পড়ুন: সাক্ষ্য দিতে ট্রাইব্যুনালে আসিফ মাহমুদ
বিজ্ঞাপন
তিনি জানান, আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী শ্রমিকদের বকেয়া বেতন পরিশোধের জন্য প্রথমে ফ্রিজ হওয়া দুই বিও অ্যাকাউন্টের শেয়ার বিক্রি করা হবে। বিক্রিত অর্থ ইসলামী ব্যাংকের নির্দিষ্ট একাউন্টে জমা হবে, সেখান থেকে আরটিজিএস পদ্ধতিতে ডাচ-বাংলা ব্যাংকের স্যালারি অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর করা হবে। এরপর প্রতিটি শ্রমিকের বেতন সরাসরি তাদের ব্যক্তিগত একাউন্টে জমা হবে।
তিনি আরও বলেন, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের চিঠি এবং দুদকের পরামর্শের ভিত্তিতে আদালতের নির্দেশে এই প্রক্রিয়া গঠন করা হয়েছে, যাতে শ্রমিকরা দ্রুত তাদের পাওনা বুঝে পেতে পারেন।
আদালতের আদেশে আরও বলা হয়েছে, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের একজন যুগ্ম সচিব পদমর্যাদার কর্মকর্তা প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। তিনি পুরো প্রক্রিয়া তদারকি করবেন। যার মধ্যে থাকবে- শেয়ার বিক্রির সমন্বয়, অর্থ স্থানান্তর, বেতন পরিশোধের তদারকি এবং আদালতে মাসিক অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিল।
বিজ্ঞাপন
আদালত প্রশাসককে নির্দেশ দিয়েছে যেন বিক্রিত অর্থ কেবলমাত্র নাসা গ্রুপের কর্মচারীদের বকেয়া বেতন পরিশোধে ব্যবহৃত হয় এবং এই অর্থ সঠিকভাবে প্রত্যেক কর্মীর ব্যক্তিগত ব্যাংক হিসাবে পৌঁছেছে কিনা তা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হয়।
উল্লেখ্য, গত বছরের ২ অক্টোবর রাজধানীর গুলশান থেকে নজরুল ইসলাম মজুমদারকে আটক করে পুলিশ। পরে তার বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন কেন্দ্রিক মামলা এবং দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।