রাবি ছাত্রলীগ কর্মী ফারুক হত্যা মামলায় সবাই খালাস

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ কর্মী ফারুক হোসেন হত্যা মামলার সব আসামিকে খালাস দিয়েছেন আদালত। দীর্ঘ ১৫ বছর পর এই মামলার রায় ঘোষণা করা হয়।
বিজ্ঞাপন
রবিবার (১২ অক্টোবর) দুপুরে রাজশাহী মহানগর অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালত-১ এর বিচারক জুলফিকার উল্লাহ এ রায় ঘোষণা করেন।
মামলার নথি সূত্রে জানা যায়, ২০১০ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি রাতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগ ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। ওই সংঘর্ষের পরদিন শাহ মখদুম হলের পেছনের একটি ম্যানহোল থেকে ছাত্রলীগ কর্মী ফারুকের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক মাজেদুল ইসলাম বাদী হয়ে মতিহার থানায় মামলা দায়ের করেন।
বিজ্ঞাপন
মামলায় জামায়াতে ইসলামীর তৎকালীন কেন্দ্রীয় আমির মতিউর রহমান নিজামী, সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদ, নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীসহ শিবিরের ৩৫ জন নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখ করা হয়। অজ্ঞাতনামা আরও বহুজনকে অন্তর্ভুক্ত করে মোট ১১৪ জনকে আসামি করা হয়।
২০১২ সালের ৩০ জুলাই পুলিশ মামলার অভিযোগপত্র জমা দেয় এবং ২০১৯ সালে চার্জগঠন সম্পন্ন হয়। দীর্ঘ বিচারপ্রক্রিয়া শেষে সাক্ষ্য-প্রমাণ ও যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে আজ আদালত ১০৫ আসামির সবাইকে বেকসুর খালাস দেন। রায় ঘোষণার সময় ২৫ জন আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
বিজ্ঞাপন
রাজশাহী মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আলী আশরাফ মাসুম জানান, মামলার বিচার চলাকালে নয়জন আসামি মারা গেছেন।
তিনি বলেন, “সেদিনের ঘটনায় ছাত্রলীগের ভিকটিমরা সাক্ষ্য দিতে এসে কোনো আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ করতে পারেননি। অপরাধের পর্যাপ্ত প্রমাণ না থাকায় আদালত আসামিদের খালাস দিয়েছেন।”
তিনি আরও জানান, একই ঘটনায় বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে দায়ের হওয়া আরেকটি মামলাও সম্প্রতি প্রত্যাহার করা হয়েছে।