শেখ হাসিনা খালাস পাবেন, প্রত্যাশা আইনজীবী

সোমবার (২০ অক্টোবর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।

আরও পড়ুন: সালমান শাহর মৃত্যুর ২৯ বছর পর হত্যা মামলা গ্রহণের নির্দেশ

তিনি বলেন, আমার তো প্রত্যাশা শেখ হাসিনা খালাস পাবেন। আমি মনে করি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একজন নিরপরাধ ব্যক্তি। তার বিরুদ্ধে যে সমস্ত অভিযোগ আনীত হয়েছে সেগুলো সঠিক নয়। সাক্ষ্যে তা প্রমাণ করতে সক্ষম হননি রাষ্ট্রপক্ষ। আমার অভিমত, শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জমান খান খালাস পাবেন।

আসামিদের সঙ্গে যোগাযোগ হয় কি না প্রশ্নে আইনজীবী আমির হোসেন বলেন, না, শেখ হাসিনা বা কামালের সঙ্গে আমার কোনও যোগাযোগ হয়নি। আপনারা বারবার জিজ্ঞেস করেন যোগাযোগ হয়েছে কিনা। কিন্তু আইনগতভাবে যোগাযোগের কোনও সুযোগ বা নিয়ম নেই। উনি (শেখ হাসিনা) যদি স্বেচ্ছায় আসেন বা ধরা দেন, তখনই কেবল যোগাযোগ করা সম্ভব। তবে আমার আর্গুমেন্ট আরও আছে। আজ সব বলিনি। পরদিন বিস্তারিতভাবে উপস্থাপন করবো।

এর আগে গত ১৬ অক্টোবর পর্যন্ত পাঁচ দিনব্যাপী যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ করে রাষ্ট্রপক্ষ। সে সময় চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খানের সর্বোচ্চ দণ্ড (মৃত্যুদণ্ড) চেয়ে আবেদন করেন। একইসঙ্গে রাজসাক্ষী হিসেবে সাক্ষ্য দেওয়ায় সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের শাস্তির বিষয়ে আদালতের সিদ্ধান্তের ওপর ছেড়ে দেন তিনি।

আরও পড়ুন: জুলাই গণঅভ্যুত্থানে হত্যার বিচার হবে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে

টানা পাঁচ দিনের যুক্তিতর্কে একাত্তর পরবর্তী আওয়ামী লীগের ইতিহাসসহ ২০০৯ থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত শেখ হাসিনার সরকারের শাসনামলের চিত্র তুলে ধরেন তিনি। গুম-খুন, হত্যাযজ্ঞের বর্ণনাও দেন। এ ছাড়া এ মামলায় গুরুত্বের পরিপ্রেক্ষিতে বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত উপস্থাপন করেন।