গাজীপুর ও বাগেরহাটের পূর্বের সংসদীয় আসন বহাল রাখল হাইকোর্ট

গাজীপুরের পাঁচটি সংসদীয় আসন অব্যাহত রাখার পাশাপাশি বাগেরহাটের চারটি আসন থেকে একটি কমিয়ে তিনটি করার নির্বাচন কমিশনের গেজেট অবৈধ ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট।
বিজ্ঞাপন
সোমবার (১০ নভেম্বর) বিচারপতি শশাঙ্ক শেখর সরকার ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ার কাজলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রায় দেন।
চূড়ান্ত শুনানি শেষে আদালত রিটের পক্ষে শুনানি করা ব্যারিস্টার শেখ মুহাম্মদ জাকির হোসেনের যুক্তি বিবেচনা করে এ আদেশ দেন। তাকে সহযোগিতা করেন অ্যাডভোকেট বিপ্লব কুমার পোদ্দার, অ্যাডভোকেট ফয়সাল মোস্তফা, অ্যাডভোকেট রাজিয়া সুলতানা, ব্যারিস্টার কাজী সামান্তা এনাম, অ্যাডভোকেট আমিনুজ্জামান সোহাগ, অ্যাডভোকেট এনামুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট মাহবুবুর রহমান ও অ্যাডভোকেট তানভীর আহমেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো. ইকরামুল কবির।
বিজ্ঞাপন
এর আগে ১৬ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট বাগেরহাটের চারটি সংসদীয় আসন বহাল রাখার বিষয়ে নির্দেশনা কেন দেওয়া হবে না তা জানতে রুল জারি করেছিলেন। একইসঙ্গে রুলে নির্বাচন কমিশনকে ৪টি আসন থেকে একটি কমিয়ে তিনটি করার গেজেটের বৈধতা প্রমাণ করতে বলা হয়।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ৩০ জুলাই নির্বাচন কমিশন প্রাথমিকভাবে বাগেরহাটের চারটি আসন থেকে একটি কমিয়ে তিনটি করার প্রস্তাব দেয়। এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল আন্দোলনে নামে। সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটি গঠন করে হরতাল, অবরোধ ও অবস্থানসহ নানা কর্মসূচি চালায়।
নির্বাচন কমিশন ৪ সেপ্টেম্বর চূড়ান্ত গেজেট প্রকাশ করে, যেখানে ৪টি আসন থেকে একটি কমিয়ে বাগেরহাটকে তিনটি আসনে ভাগ করা হয়। নতুন বিন্যাস অনুযায়ী, বাগেরহাট-১ গঠিত হয়েছে সদর, চিতলমারী ও মোল্লাহাট; বাগেরহাট-২ ফকিরহাট, রামপাল ও মোংলা; এবং বাগেরহাট-৩ কচুয়া, মোরেলগঞ্জ ও শরণখোলা নিয়ে। পূর্বের বিন্যাসে ১৯৬৯ সাল থেকে বাগেরহাটে চারটি আসনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়ে আসছিল।
বিজ্ঞাপন
বাগেরহাটে দুটি রিট দায়ের করে এই মামলায় বাংলাদেশ সরকার, প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশন সচিব ও অ্যাটর্নি জেনারেলকে বিবাদী করা হয়েছিল।
হাইকোর্টের এই রায়ে স্পষ্ট করা হয়েছে, নির্বাচন কমিশনের গেজেট প্রক্রিয়াগতভাবে ত্রুটিপূর্ণ এবং গণমানুষের দাবিকে উপেক্ষা করেছে। ফলে বাগেরহাটে চারটি আসন পুনরায় বহাল থাকবে।








