Logo

হাসিনার বিচার সরাসরি দেখবে বিশ্ব, ঢাকায় বড় পর্দায় প্রদর্শন

profile picture
নিজস্ব প্রতিবেদক
১৬ নভেম্বর, ২০২৫, ১১:৪৯
54Shares
হাসিনার বিচার সরাসরি দেখবে বিশ্ব, ঢাকায় বড় পর্দায় প্রদর্শন
ছবি: সংগৃহীত

চব্বিশের জুলাই গণহত্যাকে কেন্দ্র করে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের বহুল আলোচিত রায় ঘোষণা হবে আগামী সোমবার (১৭ নভেম্বর)। এ রায় শুধু দেশেই নয়, সরাসরি সম্প্রচার মাধ্যমে দেখবে পুরো বিশ্ব। পাশাপাশি ঢাকার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বড় পর্দায় বিচারপ্রক্রিয়া প্রদর্শনের উদ্যোগ নিয়েছে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়।

বিজ্ঞাপন

রবিবার (১৬ নভেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এবং সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র এই তথ্য নিশ্চিত করে জানায়, জাতির দৃষ্টি এখন একযোগে ট্রাইব্যুনালের দিকে। বিশ্বের বহু দেশও এই রায়ের দিকে নজর রাখছে। বিচারকাজকে একটি ঐতিহাসিক উদাহরণ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতেই এবার রায় সরাসরি সম্প্রচার করা হচ্ছে।

সূত্র আরও জানায়, রাজধানীর ব্যস্ত সড়ক, জনবহুল চত্বর ও গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে বড় স্ক্রিন স্থাপন করা হবে। ফলে সাধারণ মানুষও সহজেই বিচারপ্রক্রিয়ার প্রতিটি ধাপ প্রত্যক্ষ করার সুযোগ পাবে।

বিজ্ঞাপন

এ মামলার রায় ঘোষণার জন্য ১৭ নভেম্বর দিন নির্ধারণ করে ট্রাইব্যুনাল-১। গত ১৩ নভেম্বর দুপুরে চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ এবং বিচারপতি মোহিতুল হক এনাম চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত ট্রাইব্যুনাল রায় ঘোষণার তারিখ চূড়ান্ত করেন।

প্রসিকিউশনের পক্ষে চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলামসহ মিজানুল ইসলাম, গাজী এমএইচ তামিম, ফারুক আহাম্মদসহ আরও অনেকে দায়িত্ব পালন করেন।

গত ২৩ অক্টোবর অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান সমাপনী বক্তব্যে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের নানা উদাহরণ তুলে ধরেন এবং শেখ হাসিনা ও কামালের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানান। পরবর্তী সময়ে রাষ্ট্রপক্ষ ও রাষ্ট্রনিযুক্ত ডিফেন্স আইনজীবীরা যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন। এরপর ট্রাইব্যুনাল রায় ঘোষণার জন্য দিন ঠিক করে। ফলে জুলাই গণহত্যা ইস্যুতে প্রথমবারের মতো রায় শুনতে যাচ্ছে দেশবাসী।

বিজ্ঞাপন

অন্যদিকে মামলার আরেক আসামি সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন রাজসাক্ষী হিসেবে ট্রাইব্যুনালে জবানবন্দি দিয়েছেন। প্রসিকিউশন তার সাজা ট্রাইব্যুনালের ওপর ছেড়ে দিলেও তার আইনজীবী খালাস প্রার্থনা করেছেন। রায় ঘোষণার দিনই জানা যাবে তার ভাগ্যে কী আছে।

মামলায় মোট ৮৪ জন সাক্ষীর মধ্যে ৫৪ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন। চলতি বছরের ৩ আগস্ট সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। প্রথম সাক্ষী হিসেবে খোকন চন্দ্র বর্মণ ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টের নৃশংসতার বিবরণ তুলে ধরেন। ৮ অক্টোবর তদন্ত কর্মকর্তা মো. আলমগীরের জেরার মধ্য দিয়ে সাক্ষ্যপর্ব শেষ হয়। পরে ২৩ অক্টোবর যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হয়।

বিজ্ঞাপন

তিন আসামির বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের পাঁচটি অভিযোগ আনা হয়েছে- উসকানি, অস্ত্র ব্যবহার, আবু সাঈদ হত্যা, চানখারপুলে হত্যাকাণ্ড ও আশুলিয়ায় লাশ পোড়ানো। মামলার অভিযোগপত্রের মোট পৃষ্ঠাসংখ্যা আট হাজার ৭৪৭; যার মধ্যে রয়েছে ২,০১৮ পৃষ্ঠার তথ্যসূত্র, ৪,০০৫ পৃষ্ঠার জব্দতালিকা ও প্রমাণাদি এবং ২,৭২৪ পৃষ্ঠার শহীদ তালিকা। তদন্ত সংস্থা গত ১২ মে চিফ প্রসিকিউটরের কাছে প্রতিবেদন জমা দেয়।

সোমবারের রায় ঘোষণার মধ্য দিয়ে জুলাই গণহত্যা মামলার একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়ের সমাপ্তি দেখতে যাচ্ছে দেশ।

জেবি/এএস
Logo

সম্পাদক ও প্রকাশকঃ

মোঃ শফিকুল ইসলাম ( শফিক )

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ৫৭, ময়মনসিংহ লেন, ২০ লিংক রোড, বাংলামটর, ঢাকা-১০০০।

ফোনঃ 02-44615293

ই-মেইলঃ dailyjanobaninews@gmail.com; dailyjanobaniad@gmail.com

জনবাণী এর সকল স্বত্ব সংরক্ষিত। কপিরাইট © ২০২৫

Developed by: AB Infotech LTD