‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার দেশের গণতন্ত্রের জন্য সহায়ক ব্যবস্থা’

অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেছেন, বাংলাদেশের গণতন্ত্রের জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকার একটি সহায়ক ব্যবস্থা।
বিজ্ঞাপন
বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) তিনি জানান, আজকের ঐতিহাসিক রায়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার পুনঃপ্রবর্তন নিশ্চিত হলো। এই ব্যবস্থা পরবর্তী সংসদ ভাঙার ১৫ দিনের মধ্যে কার্যকর হবে।
অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, আজকের রায়ে পূর্বের নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহাল করা হলো। এটি বাংলাদেশের গণতন্ত্রের জন্য একটি সহায়ক ব্যবস্থা। এখন থেকে দিনের ভোট রাতের মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে না এবং মৃত ব্যক্তির ভোট গ্রহণের মতো অনৈতিক কার্যক্রম আর ঘটবে না।
বিজ্ঞাপন
জুলাই সনদে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের রূপরেখা সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, পার্লামেন্টে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হবে। ২০ বছর পর জনগণ যদি মনে করে বর্তমান ব্যবস্থা পরিবর্তন প্রয়োজন, তাহলে গণতন্ত্র সংরক্ষণের জন্য তা করা সম্ভব।
তিনি আরও বলেন, পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রকাশের পর জানা যাবে পরবর্তী তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা কে হবেন। এছাড়া জানা যাবে, পূর্বের ব্যবস্থা অনুযায়ী হবে নাকি জুলাই সনদ অনুযায়ী কার্যক্রম হবে।
এর আগে, আপিল বিভাগ নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলের রায়কে অবৈধ ঘোষণা করে ত্রয়োদশ সংশোধনী বৈধ ঘোষণা করে সংবিধানে পুনর্বহাল করেন। বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা ৪০ মিনিটে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে ৭ বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ আপিল বিভাগ ঐতিহাসিক রায় ঘোষণা করে।
বিজ্ঞাপন
রায়ের ফলে সংবিধানে স্বয়ংক্রিয়ভাবে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফিরে এসেছে। তবে আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে অন্তর্বর্তী সরকার অধীনে, এবং চতুর্দশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় থেকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার কার্যকর হবে বলে জানানো হয়েছে।







