তলবের ১০ মিনিটেই ট্রাইব্যুনালে পান্না, চাইলেন নিঃশর্ত ক্ষমা

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ বুধবার (৩ ডিসেম্বর) দুপুরে শুরু হওয়া শুনানিতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ গঠন নিয়ে বিশেষ ঘটনা ঘটেছে। র্যাবের টিএফআই সেলে বিরোধী মতাদর্শের লোকদের গুম ও নির্যাতনের মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের শুনানি চলাকালীন সময় হাজির হন জেডআই খান পান্না, তিনি পলাতক আসামি শেখ হাসিনার পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত ছিলেন।
বিজ্ঞাপন
শুনানি শুরু হওয়ার পর ট্রাইব্যুনাল পান্নাকে ফোন করে আসার জন্য আহ্বান জানালে, মাত্র ১০ মিনিটের মধ্যে তিনি হুইলচেয়ারে অন্যান্য আইনজীবীর সঙ্গে উপস্থিত হন। ট্রাইব্যুনাল তার সুস্থতা যাচাই করতে চায় এবং জানতে চায়, কেন তিনি আগে হাজির হননি।
জবাবে পান্না জানান, শারীরিক অসুস্থতার কারণে তিনি আগে উপস্থিত হতে পারেননি, তবে ইতিমধ্যেই তিনি রেজিস্ট্রার কার্যালয়ে চিঠি পাঠিয়ে এই মামলায় না দাঁড়ানোর বিষয় জানিয়েছিলেন।
বিজ্ঞাপন
ট্রাইব্যুনাল বলেন, আপনি নিজে আগ্রহ দেখিয়ে আইনজীবী হয়েছেন। আদালত আপনাকে হাজির হওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছে। আপনার ভিডিও বার্তায় উল্লেখ আছে, আপনার ক্লায়েন্ট আদালত মানেন না। আপনি কি নিজেও তা মানেন?
এর জবাবে জেডআই খান পান্না বলেন, আমি আনকনডিশনালি ক্ষমা চাই।
এরপরও তিনি আদালতে মামলায় লড়ার বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো উত্তর দেননি। ট্রাইব্যুনাল এরপর তার স্থলাভিষিক্ত হিসেবে মো. আমির হোসেনকে স্টেট ডিফেন্স আইনজীবী হিসেবে নিয়োগ দেয়।
বিজ্ঞাপন
মামলার প্রেক্ষিতে গ্রেপ্তার করা ১০ জন সেনা কর্মকর্তা হলেন- ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম (র্যাবের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক), ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. কামরুল হাসান, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহাবুব আলম, কর্নেল কেএম আজাদ, কর্নেল আবদুল্লাহ আল মোমেন, কর্নেল আনোয়ার লতিফ খান (অবসরকালীন ছুটিতে), কর্নেল মো. মশিউর রহমান (র্যাবের গোয়েন্দা শাখার সাবেক পরিচালক), লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল ইসলাম সুমন এবং লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. সারওয়ার বিন কাশেম।
অন্যদিকে পলাতক আসামিদের মধ্যে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার প্রতিরক্ষাবিষয়ক সাবেক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক আইজিপি বেনজির আহমেদ, র্যাবের সাবেক ডিজি এম খুরশিদ হোসেন, র্যাবের সাবেক মহাপরিচালক ব্যারিস্টার হারুন অর রশিদ এবং র্যাবের সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) মো. খায়রুল ইসলাম অন্তর্ভুক্ত।
বিজ্ঞাপন
শুনানি চলাকালীন ট্রাইব্যুনাল হুইলচেয়ারে হাজির জেডআই খান পান্নার আচরণ এবং তার নিঃশর্ত ক্ষমার আবেদন নিয়ে আলোচনা করেছে। তবে মামলার কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে এবং তার স্থলাভিষিক্ত আইনজীবী মামলার রক্ষাকবচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।








