সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র: শওকত মাহমুদের ৫ দিনের রিমান্ড

রমনা মডেল থানার সন্ত্রাস বিরোধী আইনের মামলায় গ্রেপ্তার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি ও জনতা পার্টি বাংলাদেশের মহাসচিব শওকত মাহমুদকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বিজ্ঞাপন
বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ফাহমিদা খন্দকার আন্না শুনানি শেষে এই আদেশ দেন।
শওকত মাহমুদকে গত রোববার মালিবাগ থেকে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সদস্যরা গ্রেপ্তার করেন। তার গ্রেপ্তারের সঙ্গে যুক্ত মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে যে, তিনি সহযোগিতায় অন্য দেশের এজেন্ট হিসেবে কাজ করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে উৎখাতের পরিকল্পনা করছেন। মামলায় আরও গ্রেপ্তার হয়েছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক এনায়েত করিম চৌধুরী।
ডিবি পুলিশের রমনা জোনাল টিমের পরিদর্শক আখতার মোর্শেদ রিমান্ড আবেদনের সময় জানান, শওকত মাহমুদ ও অন্যান্য অজ্ঞাত আসামিরা এনায়েত করিম চৌধুরীর সঙ্গে যোগসাজশ করে দেশের অখণ্ডতা, সংহতি ও জননিরাপত্তা বিপন্ন করার চেষ্টা করছেন। এছাড়া তারা বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা, উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে গোপন বৈঠক ও পরামর্শ করে সরকারের উৎখাতের ষড়যন্ত্র করছেন।
বিজ্ঞাপন
মামলার সূত্রে জানা যায়, ১৩ সেপ্টেম্বর সকালে মিন্টো রোডের মন্ত্রীপাড়া এলাকায় প্রাডো গাড়িতে করে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাফেরা করতে দেখা যায় এনায়েত করিম চৌধুরীকে। তাকে থামিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি কোনো সন্তোষজনক উত্তর দিতে পারেননি। তার কাছ থেকে দুইটি আইফোন জব্দ করা হয়। প্রাথমিক বিশ্লেষণে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী তিনি বিশেষ একটি দেশের গোয়েন্দা সংস্থার এজেন্ট হিসেবে বাংলাদেশে আসেন এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উৎখাতের পরিকল্পনা করেন।
এনায়েত করিম চৌধুরীর জবানবন্দি অনুযায়ী, তিনি সরকারি ও বেসরকারি উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন, রাজনৈতিক নেতা ও ব্যবসায়ী মহলের তথ্য সংগ্রহ করেছেন এবং সবকিছু নিয়ন্ত্রণাধীন গোয়েন্দা সংস্থার কাছে প্রেরণ করতেন।
মামলায় তার সহযোগী হিসেবে গ্রেপ্তার হন এসএম গোলাম মোস্তফা আজাদ, জাতীয় পার্টির রওশনপন্থি অংশের মহাসচিব কাজী মো. মামুনুর রশীদ, সাংবাদিক মো. আজহার আলী সরকার, যুব সংহতির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব রিফাতুল ইসলাম পাভেল। তারা বর্তমানে কারাগারে আটক রয়েছেন।
বিজ্ঞাপন
পুলিশ ও বিচারিক কর্মকর্তারা বলছেন, রিমান্ডের মাধ্যমে আসামিদের কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংগ্রহ করা হবে, যা দেশের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব সংরক্ষণের জন্য অপরিহার্য।








