হবিগঞ্জে কনকনে শীত ও কুয়াশা উপেক্ষা করে বোরো আবাদ


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১:৪৫ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২


হবিগঞ্জে কনকনে শীত ও কুয়াশা উপেক্ষা করে বোরো আবাদ

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি: কনকন শীত আর ঘন কুয়াশায় অল্প বৃষ্টির মধ্যে হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলা হাওরাঞ্চলের জীবন রক্ষাকারী একমাত্র ফসল বোরো রোপণের ধুম পড়েছে। উৎপাদনকারী প্রতিটি কৃষক এখন আর অবসরে নেই। হাওড় অঞ্চলের কয়েক হাজার নারী-পুরুষ মিলে বোরো জমিতে কাজ করছেন।

হবিগঞ্জ জেলার লাখাই উপজেলার সংযোগস্থল বিস্তীর্ণ এ হাওরাঞ্চল। এ অঞ্চলে একমাত্র বোরো ফসল উৎপাদন হয়ে থাকে। এছাড়াও এ অঞ্চলে রয়েছে ইত্যাদি বিভিন্ন ছোট বড় বিল। ফলে প্রাকৃতিক কারণেই এ অঞ্চলের আবাদি ভূমির ৭৫ থেকে ৮০ ভাগেই একমাত্র বোরো ফসল উৎপাদন হয়ে থাকে। এসব জমিতে সময় মতো রোপণ, সেচ ও সার প্রয়োগে প্রায় প্রতি বছরেই বাম্পার ফলন হয়ে থাকে। কার্তিকের প্রথম দিকেই বর্ষার পানি চলে যাওয়ার পর কৃষকরা বীজতলা তৈরি করে ধান বপন করেন এবং অগ্রহায়ণের দিক থেকে বীজ তলায় তৈরি ধানের চারা মাঘমাস পর্যন্ত রোপণ করেন। তীব্র শীত আর ঘন কুয়াশা নিত্যদিন সাথী করে জমিতে হালচাষ, পানি উঠানো, সার প্রয়োগ ও চারা রোপণে ব্যস্ত সময় পার করেন কৃষকরা।

লাখাই উপজেলার লাখাই  ইউনিয়নের শিবপুর, স্বজনগ্রাম,কামালপুর, কৃষ্ণপুর, জরিপপুর, রুহিতনসী, বুল্লা ইউনিয়ন, ভবানীপুর, মাদনা, বুল্লা, ভরপুনী, ফরিদপুর, বামৈ ইউনিয়নের নয়াগাঁও হাওড়াঞ্চলে ঘুরে দেখা গেছে, প্রত্যক হাওড়েই ৯০ থেকে ৯৫ ভাগ জমি রোপণের কাজ শেষ হয়েছে। মুড়াকুরি ইউনিয়ন, করাব ইউনিয়ন, মুড়িয়াউক ইউনিয়ন গুলোতে রোপন শুরু হশেছে ইতি মধ্যে ৪০ থেকে ৫০ ভাগ রোপন হয়েছে। 

 লাখাই উপজেলার ভারপ্রাপ্ত কৃষি অফিসার শাকিল খন্দকার জনবাণীকে জানান, এ বছর লাখাই উপজেলায় বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ১১ হাজার  ২শ' হেক্টরের বেশী  নির্ধারণ করা হয়েছে। এ বিষয়ে তিনি আরো   জানান, উপজেলায় এ বছর বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা অন্য বছরের তুলনায় নেশী। 

এসএ/