বিএমইউতে শুরু হলো ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মরণ’ অনুষ্ঠানমালা
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:৩৪ অপরাহ্ন, ১৫ই জুলাই ২০২৫

বাংলাদেশের একমাত্র বিশেষায়িত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ মেরিটাইম ইউনিভার্সিটিতে শুরু হয়েছে “জুলাই গণঅভ্যুত্থান পুনর্জাগরণ অনুষ্ঠানমালা-২০২৫, জুলাই স্মরণ”।
ঢাকায় অবস্থিত বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পাসের অডিটোরিয়ামে মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) দুই দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের প্রথম দিন যথাযথ মর্যাদায় আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর রিয়ার এডমিরাল ড. খন্দকার আক্তার হোসেন, এনইউপি, এনডিসি, পিএসসি, পিএইচডি। অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহত শিক্ষার্থীরা এবং অন্যান্য শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মরণে ভিডিও ক্লিপ প্রদর্শন করা হয়। এরপর বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক স্বর্ণা দত্ত এবং ম্যানেজমেন্ট বিভাগের প্রভাষক হাসিবুল ইসলাম ২০২৪ সালের জুলাই অভিজ্ঞতা বিনিময় করেন।
এছাড়া ‘July Women’s Day’ উপলক্ষে পোর্ট অ্যান্ড শিপিং ম্যানেজমেন্ট বিভাগের শিক্ষার্থী অন্বেষণা বণিক গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য প্রদান করেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভাইস-চ্যান্সেলর জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান এবং বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধসহ বিভিন্ন দেশের গণঅভ্যুত্থান ও বিপ্লবের প্রেক্ষাপট তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘বিশ্বব্যাপী জুলাই গণঅভ্যুত্থান একদিন শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করা হবে।’
তিনি শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানান, তাদের মেরিটাইম সংশ্লিষ্ট পেশাজীবী হিসেবে নিজেদের গড়ে তুলতে হবে এবং তথ্য প্রযুক্তিনির্ভর এই যুগে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই), স্মার্ট টেকনোলজি, চ্যাটজিপিটি, ওয়েব ডিজাইন, গ্রাফিক ডিজাইন, রোবটিক্স, ড্রোন ইত্যাদি প্রযুক্তিতে পারদর্শিতা অর্জন করতে হবে।
ভাইস-চ্যান্সেলর আরও বলেন, “আঠারো কোটি মানুষের দেশে সীমিত ভূমিকে কাজে লাগিয়ে জনসম্পদে রূপান্তর ঘটাতে হবে। জনশক্তিই হবে আমাদের সবচেয়ে বড় শক্তি।”
অনুষ্ঠানের শেষে দোয়া ও মোনাজাত, এবং অংশগ্রহণকারীদের গ্রুপ ফটোগ্রাফির মাধ্যমে প্রথম দিনের কার্যক্রমের সমাপ্তি ঘটে।
এসডি/