মিটফোর্ডে হত্যাকাণ্ড সাজানো: চবি ছাত্রদল নেতা


Janobani

ক্যাম্পাস প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৪:২০ অপরাহ্ন, ১২ই জুলাই ২০২৫


মিটফোর্ডে হত্যাকাণ্ড সাজানো: চবি ছাত্রদল নেতা
ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে হত্যার ঘটনাটি সাজানো বলে দাবি করেছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন হৃদয়। 


শনিবার (১২ জুলাই) নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম পোস্টে এ মন্তব্য করেন তিনি। 


ফেসবুকে ছাত্রদল নেতা লেখেন, ‘অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, গতকালকের খুন ছিল একটা বড় পরিকল্পনার অংশ, একটা সাজানো মঞ্চ, যেটা মঞ্চায়ন করেছে জান্নাতের টিকিট বিক্রি করা গুপ্ত সংগঠন। বিএনপি খুন করেনি অথচ একদল গর্দভ বিএনপির বিরুদ্ধে উঠেপড়ে লেগেছে। ছাত্রদলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা প্রতিবাদ করেছে। ঢাবি ছাত্রদল বিচার চেয়ে মিছিল করেছে অথচ গুপ্তরা ছাত্রদল বয়কট, নিষিদ্ধ চাচ্ছে।’


আরও পড়ুন: ঢাবির হল থেকে ছাত্রলীগ নেতা আল-আমিন আটক


‘যেখানে বিএনপি ছাত্রদল জড়িত নয় সেখানে বিএনপির বিরুদ্ধে স্লোগান তাদের উদ্দেশ্য পরিষ্কার। এটাতে সন্দেহ আরও ঘনীভূত হয়, যখন দেখা যায় খুনের সময় পথচারীর মতো কিছু মানুষ নির্লিপ্তভাবে হেটে যাচ্ছে। এগুলো ঘটনার অংশ, যেন খুনটাকে নর্মাল হিসেবে দেখা যায়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি অনুরোধ, সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে এই ঘটনার পেছনে আলবদর আল শামসের সহোদরের কোনো ইনভেস্ট আছে কি-না, হত্যাকারীরা গুপ্ত এজেন্ট কি-না, তা খতিয়ে দেখা উচিত।’




বুধবার (০৯ জুলাই) রাজধানীর পুরান ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও মিটফোর্ড হাসপাতাল কম্পাউন্ডে ব্যবসায়ী চাঁদ মিয়া ওরফে সোহাগকে নির্মমভাবে খুন করা হয়। এ ঘটনার প্রতিবাদে সারা দেশে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। 


আরও পড়ুন: দুর্যোগে আতঙ্ক নয়, চাই দ্রুত পদক্ষেপ: ডুয়েট উপাচার্য


পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, নিহত সোহাগ মিটফোর্ড এলাকায় ভাঙাড়ি ও পুরোনো বৈদ্যুতিক কেবল ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তার দোকানের নাম ছিল ‘সোহানা মেটাল’। বিদ্যুতের তামার ও সাদা তারের ব্যবসার একটি সিন্ডিকেট পরিচালনা করতেন তিনি। এই ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নিতে মরিয়া ছিলেন মাহমুদুল হাসান মহিন ও সারোয়ার হোসেন টিটু। তারা নিয়মিত চাঁদা দাবি করছিলেন এবং ব্যবসার ৫০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ চেয়েছিলেন। এই বিরোধ থেকেই হত্যাকাণ্ডের সূত্রপাত বলে জানিয়েছে পুলিশ।


স্থানীয়রা জানিয়েছেন, নিহত সোহাগ এবং হামলায় নেতৃত্ব দেওয়া মহিন ও টিটুসহ অধিকাংশ আসামি ৩০ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নিহতের বোন মঞ্জুয়ারা বেগম কোতোয়ালি থানায় মামলা করেছেন। এতে ১৯ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাতপরিচয় আরও ১৫-২০ জনকে আসামি করা হয়েছে।


এমএল/