সিসি ক্যামরা বসানোর পরেই নষ্ট, আনোয়ারায় বেড়েছে চুরি-ছিনতাইসহ নানা অপরাধ


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১:৪৫ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২


সিসি ক্যামরা বসানোর পরেই নষ্ট, আনোয়ারায় বেড়েছে চুরি-ছিনতাইসহ নানা অপরাধ

আনোয়ারা প্রতিনিধি: চট্রগ্রাম আনোয়ারা উপজেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থান ও প্রবেশমুখে সামাজিক অপরাধ, যানজটমুক্ত রাখা, চুরি-ছিনতাই রোধসহনানা অপরাধ কর্মকান্ড নিয়ন্ত্রণের জন্য  বসানো হয় অন্তত  ৪৪ টি  ক্লোজড সার্কিট (সিসি ক্যামরা) ক্যামেরা। কিন্তু কয়েক মাসের মাথায় বসানো বেশিরভাগ সিসি ক্যামেরা অচল হয়ে গেছে। ফলে উপজেলায় বেড়ে চলছে নানা অপরাধ। দৃশ্যত, সিসিক্যামেরাসমুহ অচল থাকার কারণে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অপরাধকর্মে জড়িতদের সহজে সনাক্ত করতে পারছেনা। এই অবস্থারকারণে উদ্বেগ-উৎকন্ঠা তৈরি হয়েছে  ব্যবসায়ী, পথচারীসহ সর্বমহলে। 

সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলা বিভিন্ন স্থানে স্থাপন করা ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা (সিসি ক্যামরা) নষ্ট হয়ে গেছে। কিছু কিছুক্যামেরা চুরি হয়ে গেছে। এরমধ্যে বেশরিভাগ ক্যামেরার মুখ ভিন্ন দিকে তাক করা রয়েছে। কিছু ক্যামেরা আকাশের দিকে, আবারকিছু ক্যামেরা মাটির দিকে। আর  বসানো মনিটরও বন্ধ রয়েছে। যার কারণে উপজেলা চুরি, ছিনতাই, ইভটিজিং, যানজটসহনানা অপরাধ কর্মকান্ড বেড়ে গেছে। 

সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী ২০১৭ সালে উপজেলার আনোয়ারা সদর, জয়কালীর হাট, ছাত্তার হাট, কালাবিবির দিঘীর মোড়, সরকার হাট, বরুমচড়া রাস্তার মাথা, বরুমচড়া সেন্টার, চাতরী চৌমহনী বাজার, বন্দর কমিউনিটি সেন্টার, বটতলী রুস্তম হাট, জুঁইদন্ডী চৌমুহনী, পারকি সমুদ্র সৈকতসহ উপজেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণস্থান ও সড়কে ৪টি করে মোট ৪৪ টি সিসি ক্যামেরা বসায়উপজেলা প্রশাসন।

চাতরী চৌমুহনী বাজার এলাকার ব্যবসায়ী এম এ মনছুর বলেন, এসব সিসি ক্যামেরা বসানোর প্রথমদিকে ঠিক মতো নজরদারিথাকলেও দুই মাস পর থেকে কার্যক্রমে ভাটা পড়ে। এতে অধিকাংশ ক্যামেরা নষ্ট ও চুরি হয়ে যায়। আবারো অনেক জায়গায় দেখিক্যামরা আছে তার নেই। পুনরায় ক্যামরা গুলো স্থাপন করলে কিছুটা হলেও কমবে অপরাধ।

আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ জোবায়ের আহমেদ জনবাণীকে বলেন, অপরাধমুক্ত করতে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষথেকে সিসি ক্যামেরা বসানোর সিদ্ধান্ত নেয়। নানা কারণে এসব ক্যামরা বিকল হয়ে যায়। শীঘ্রই আবারো এসব স্থানে উন্নতমানেরসিসি ক্যামরা বসানো হবে।

এসএ/