৭ জেলায় ৭ বিয়ে, প্রতারণার রুট তৈরি করে শাকিল


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১:৪৫ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২


৭ জেলায় ৭ বিয়ে, প্রতারণার রুট তৈরি করে শাকিল

কুমিল্লা প্রতিনিধি: মানুষকে বিদেশে পাঠানোর নাম করে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে শাকিল আজাদ (২৯) নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-১১ সিপিসি-২ কুমিল্লার সদস্যরা। মঙ্গলবার দিবাগত রাতে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার পদুয়ার বাজার বিশ্বরোড এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। এ সময় তার কাছ থেকে সাতটি পাসপোর্ট জব্দ করা হয়। গ্রেপ্তার শাকিল আজাদের বাড়ি কুমিল্লার বরুড়া উপজেলায় বলে জানিয়েছে র‌্যাব।

র‌্যাবের দাবি- প্রতারণার মাধ্যম হিসেবে ওই যুবক বেছে নিয়েছেন বিয়েকে। যেখানে বিয়ে করেন সেখানে নিজেকে পরিচয় দেন কাতার প্রবাসী হিসেবে। এরই মধ্যে প্রতারণার শিকার ব্যক্তিদের কাছে ওই প্রতারক 'কাতারি জামাই’ হিসেবে পরিচিত হয়ে উঠেছেন। বুধবার সন্ধ্যায় এসব তথ্য জানায় র‌্যাব-১১, সিপিসি-২ কুমিল্লার কোম্পানি কমান্ডার মেজর মোহাম্মদ সাকিব হোসেন।

মেজর সাকিব জানান, নতুন নতুন বিয়ে করে শ্বশুরবাড়ির এলাকার বেকার যুবকদের কাতারে নেওয়ার কথা বলে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেন ওই প্রতারক। প্রথমে স্বল্প পরিচিত কারো এলাকায় ঘুরতে যাওয়ার বাহানায় দরিদ্র কিংবা অসচ্ছল পরিবারের মেয়েকে প্রবাসী পরিচয়ে বিয়ে করতেন তিনি। এমন করে সাতটি জেলায় সাতটি বিয়ে করেছেন তিনি। পরে প্রতারণার শিকার ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে।

তিনি বলেন, শাকিল আজাদ প্রতারণার মাধ্যমে কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, রংপুর, নীলফামারী ও ফরিদপুরে বিয়ে করেছেন বলে নিশ্চিত হয়েছি। শাকিল আজাদ প্রথমে বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে আসেন। তারপর ওই এলাকার নিম্ন আয়ের পরিবার খোঁজেন। এরপর সেই পরিবারের মেয়েকে বিয়ে করেন। কাতার প্রবাসী হিসেবে সেসব এলাকার বিভিন্ন মসজিদ মাদরাসায় দান খয়রাতও করতেন তিনি। তারপর শ্বশুরবাড়ির এলাকার বেকার যুবকদের কাতার নেওয়ার কথা বলে টাকা পয়সা হাতিয়ে উধাও হয়ে যেতেন। পরে প্রতারণার শিকার বেকার যুবকরা প্রতারকের শ্বশুরবাড়ি গিয়ে টাকার জন্য চাপ দেন। একদিকে কন্যাকে নিয়ে দুঃচিন্তা, অন্যদিকে টাকা ফেরত দেওয়ার চাপে পরতেন শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা।

মেজর সাকিব বলেন, আজাদ চতুর্থ বিয়েটি করেন খুলনায়। সেখানের কয়েকজন যুবকের কাছ থেকে কয়েক লাখ টাকা হাতিয়ে নেন। ওই ঘটনা ২০১৮ সালের। পরে এলাকাবাসীর রোষাণলে পড়ে ওই পরিবারটি এলাকা ছাড়তে বাধ্য হন। ১৫ দিন আগে আজাদের চতুর্থ স্ত্রী কুমিল্লা র‌্যাব অফিসে বিস্তারিত লিখে অভিযোগ দায়ের করেন। এরপরই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। 

তিনি আরো জানান, বিভিন্ন অভিযোগের প্রেক্ষিতে ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ আজাদের পাসপোর্টটি বাতিল করেছেন। এতে সে ছদ্মবেশে চট্টগ্রামে একটি বেকারি খোলেন। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা শেষে বরুড়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

এসএ/