‘হৃদয় ভাঙার চেয়ে প্লেট ভাঙ্গা ভাল: ফারহা


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১:৪৬ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২


‘হৃদয় ভাঙার চেয়ে প্লেট ভাঙ্গা ভাল: ফারহা

ফারহার কোরিওগ্রাফির যাত্রা কাকতালীয়ভাবে ঘটে। সে সময় 'জো জিতা উওহি সিকন্দর' ছবির কোরিওগ্রাফি করার কথা ছিল সারোজ খানের। ঘটনাচক্রে তাকে কোদাইকানাল চলে যেতে হয়। ছবির 'পেহলা নশা' গানের কোরিওগ্রাফি করার গুরু দায়িত্ব এসে পড়ে ২৭ বছরের ফারহার কাঁধে। একটুকুও না ঘাবড়ে সেই কাজে নিজেকে প্রমাণ করেন ফারহা।

শাহরুখ খান অভিনীত ‘মে হুু না’-র সেটে প্রেম। ফারহা এবং পরিচালক শিরীষ কুন্দার বিয়ে করেন ২০০৪ সালে। ২০০৮ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি আইভিএফ পদ্ধতিতে জন্ম নেয় তাদের তিন সন্তান  ডিভা, জার ও আনিয়া। সেই থেকে ছেলেমেয়েদের নিয়েই আনন্দের ফোয়ারা ফারহার ভরা সংসারে।

তাদের তিন সন্তান জার, ডিভা এবং আনিয়াকে নিয়েই রেস্তরায় গিয়েছিলেন ফারহা। হৃদয় নয়, প্লেট ভাঙো  বাচ্চাদের নৈশভোজে নিয়ে গিয়ে এই শিক্ষাই দিতে চাইলেন বলিউডের জনপ্রিয় পরিচালক ফারহা খান।

সেই মতো এক রেস্তরাঁয় প্লেট ভাঙতে দেখা যায় ফারহার তিন ছেলেমেয়ে জার, ডিভা এবং আনিয়াকে। ‘প্লেট স্ম্যাশিং’ বা কাচের প্লেট ভাঙা এক গ্রিক প্রথা, দুষ্ট আত্মাদের দূরে রাখতে প্লেট বা চশমা ভেঙে ভেঙে ফেলা বহু দিনের রেওয়াজ। নিজের সন্তানদের নিয়ে তাতেই মাতলেন ‘ওম শান্তি ওম’ নির্মাতা। 

সেই ভিডিয়ো শেয়ার করে লিখলেন, ‘হৃদয় ভাঙার চেয়ে ভাল প্লেট ভাঙা...’। সেই ভিডিয়োর নীচে ভালবাসা উজাড় করে দিলেন ভক্তরা।

গত তিন দশক ধরে ইন্ডাস্ট্রির গুরুত্বপূর্ণ মুখ ফারহা খান কুন্দার। সহকারী পরিচালক এবং ব্যাকগ্রাউন্ড ড্যান্সার হিসাবে কর্মজীবন শুরু করেছিলেন তিনি। ২০০৪ সালে ‘মে হুু না’ ছবি দিয়ে পরিচালক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। পরে, ‘ওম শান্তি ওম’, ‘তিস মার খান’ এবং ‘নিউ ইয়ার’-এর মতো ছবি পরিচালনা করেন। সেই সঙ্গে নেটমাধ্যমেও তিনি সক্রিয়। পারিবারিক মজাদার মুহূর্ত ভাগ করে প্রায়ই মন কেড়ে নেন অনুরাগীদের।

সূত্র: আনন্দবাজার

আরএক্স/