উত্তেজক খেয়ে বিকৃত যৌন সম্পর্ক, হাসপাতালে কাঁতরাচ্ছেন নববধূ


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১:৪৫ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২


উত্তেজক খেয়ে বিকৃত যৌন সম্পর্ক, হাসপাতালে কাঁতরাচ্ছেন নববধূ

নাটোর প্রতিনিধি: যৌতুকের টাকা না পেয়ে যৌন উত্তেজক বড়ি খেয়ে নববধূর সঙ্গে (১৯) বিকৃত সঙ্গম করেছে পাষন্ড স্বামী। অসহ্য ব্যাথায় নববধূ মিনতিও পাষন্ড স্বামীর মন গলাতে পারেননি। অতিরিক্ত রক্ষকরণ হওয়ায় মিনতি চিৎকার করলে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।

গত রবিবার (২৩ জানুয়ারি) গভীর রাতে নাটোরের গুরুদাসপুর পৌর সদরের ২নং ওয়ার্ডের পার-গুরুদাসপুর মহল্লায় ঘটনাটি ঘটে। পরে ওই গৃহবধূর পিতা মো. রাশিদুল ইসলাম বাদী হয়ে মেয়ে জামাই মুক্তার হোসেনকে আসামী করে গুরুদাসপুর থানায় মামলা দায়ের করে। এ ঘটনায় স্বামী মুক্তার হোসেনকে (৪০) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (২৫ জানুয়ারি) ভুক্তভোগী নারীর পিতা বাদী হয়ে গুরুদাসপুর থানায় জামাইয়ের বিরুদ্ধে মামলা করলে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত মুক্তার হোসেন গুরুদাসপুর পৌর সদরের মানিক উল্লাহর ছেলে।

বুধবার (২৬ জানুয়ারি) উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক অরিফা আফরোজ বানু জানান, ওই নববধূ বিকৃত যৌনাচারের আলামত নিয়ে চিকিৎসা কেন্দ্রে আসেন। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে যৌন অনাচারের বর্ণনা রোগীর মুখে শুনেছি, তবে ঘটনার দুদিন পরে চিকিৎসা নিতে আসায় স্বল্প আলামত পাওয়া গেছে। তিনি হাসপাতালে ভর্তি আছেন।

ভুক্তভোগী নববধূর পরিবার ও মামলার নথি সূত্রে জানা যায়, সাতমাস আগে পারিবারিক-ভাবে পার-গুরুদাসপুর মহল্লার মানিক উল্লাহর ছেলে মুক্তার হোসেনের (৪০) সাথে মিনতির বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই যৌতুক-লোভী স্বামী মুক্তার কারনে অকারনে নববধূকে শারীরিক ও মানষিকভাবে নির্যাতন চালিয়ে আসছিলেন। একপর্যায়ে রবিবার গভীর রাতে যৌন উত্তেজক বড়ি খেয়ে স্ত্রীর যৌনাঙ্গে ও পায়ুপথে উপর্যোপরি নির্যাতন করায় অতিরিক্ত রক্ষক্ষরন হয়। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে অসুস্থ নববধূ হাসপাতালের বেডে কাঁতরাচ্ছেন।

নির্যাতিত নববধূ জানান, বিয়ের পর থেকেই নিয়মিত যৌন উত্তেজক বড়ি খেয়ে তাঁকে বিকৃত যৌন নির্যাতন করতেন স্বামী মুক্তার হোসেন। নিষেধ করলে তিনি শারীরিকভাবে নির্যাতন করতেন। স্বামীর দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি দাবী করেন ওই গৃহবধূ।

গ্রেফতারের পূর্বে অভিযুক্ত স্বামী মুক্তার হোসেন যৌন উত্তেজক বড়ি সেবনের কথা স্বীকার করে মুঠোফোনে জানিয়েছিলেন, তার স্ত্রী গর্ভবতী। বেশ ক’দিন বিরতির পর তার সাথে শারীরিক মিলনের কারনে রক্তক্ষরণ হয়েছে বলে দাবি করেছিলেন তিনি।

গুরুদাসপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল মতিন জনবাণীকে জানান, গৃহবধূর পিতা বাদী হয়ে মেয়ে জামাই মুক্তার হোসেনের নামে মামলা দায়ের করেছেন। পরে অভিযুক্ত মুক্তার হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

এসএ/