নৌ-কমান্ডো সন্তান কমান্ডের বার্ষিক সম্মেলন
নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১:৫২ পূর্বাহ্ন, ১লা অক্টোবর ২০২২
এসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মো. শাহজাহান কবির
বাংলাদেশ শিশু কল্যাণ পরিষদের অডিটরিয়ামে নৌ-কমান্ডো সন্তান ড. অসীম কুমার নট্টের সভাপতিত্বে মুক্তিযোদ্ধা নৌ-কমান্ডো সন্তান কমান্ডের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা নৌ-কমান্ডো এসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মো. শাহজাহান কবির বীর প্রতীক। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা নৌ-কমান্ডো এসোসিয়েশনের কো-চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ও বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা নৌ-কমান্ডো এসোসিয়েশনের মহাসচিব অনিল বরন রায়।
প্রধান অতিথি আলহাজ্ব মো. শাহজাহান কবির বীর প্রতীক বলেন, মুক্তিযোদ্ধা ও নৌ-কমান্ডোরা জাতির ক্রান্তিকালে বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে সাড়া দিয়ে ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে জীবনের মায়া ত্যাগ করে দীর্ঘ নয় মাস যুদ্ধ করে বাংলাদেশ স্বাধীন করে। আমরা যে উদ্দেশ্য ও আদর্শ নিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীন করেছিলাম সেই আদর্শ ও উদ্দেশ্য এখনও বাস্তবায়িত হয়নি। মুক্তিযোদ্ধা নৌ-কমান্ডো সন্তান কমান্ডের সদস্যরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠিত করতে পারবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে নৌ-কমান্ডো এসোসিয়েশনের মহাসচিব অনিল বরণ রায় বলেন, ৭১ এর সশস্র মুক্তিযুদ্ধে সবচেয়ে সাড়া জাগানো নৌ-কমান্ডো যুদ্ধের কথা জাতীয়ভাবে সংরক্ষণ করা উচিত এবং নতুন প্রজন্মকে জানানোর জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত। মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কোটা সংস্কার পূর্বক পুনর্বহাল করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে নৌ-কমান্ডো এসোসিয়েশনের কো-চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন বলেন, নৌ-কমান্ডোদের অপারেশন জ্যাকপট সারা পৃথিবীতে তুমুল আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল। সম্মেলনে ৭১’র রনাঙ্গনের বীর মুক্তিযোদ্ধা নৌ-কমান্ডোদের মধ্যে অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।
সম্মেলনে নাজমুল হক শিশিরকে সভাপতি, আশিকুল কবিরকে সাধারণ সম্পাদক, ফয়সাল আহমেদ খান কে সাংগঠনিক সম্পাদক ও মাহমুদুন্নবীকে অর্থ সম্পাদক করে ২৩ সদস্য বিশিষ্ট কার্যকরী পরিষদ গঠিত হয়।
জেবি/ আরএইচ/
বিজ্ঞাপন
