সকলকে কাঁদিয়ে চিরদিনের জন্য ক্যাম্পাস ছাড়লেন শাহরিয়ার
ক্যাম্পাস প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৩:৪৪ পূর্বাহ্ন, ২১শে অক্টোবর ২০২২
শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও সহপাঠীদের কাঁদিয়ে ক্যাম্পাস থেকে শেষ বিদায় নিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) মার্কেটিং বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র এজিএম শাহরিয়ার।
আজ বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) সকাল ৯ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ চত্বরে জানাজা শেষে তার মরদেহ একটি লাশবাহী গাড়ি দিনাজপুরের জেলার বিরল উপজেলায় তার গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার উদ্দেশে রওনা হয়।
এদিকে শাহরিয়ারে মৃত্যুতে শোকে মূহ্যমান হয়ে পড়েছেন তার সহপাঠীরা। কান্নায় ভেঙে পড়তে দেখা গেছে অনেককে। তার আত্মীয়-স্বজনের আহাজারিতে ভারী হয়ে উঠেছিল মতিহারের সবুজ ক্যাম্পাস। শাহরিয়ারের এমন মৃত্যু মেনে নিতে পারছেন না তার সহপাঠীরা। শাহরিয়ারকে শেষ বিদায় জানাতে অনেকেই ভীড় করেছেন লাশবাহী গাড়ির চারপাশে।
সরেজমিনে দেখা যায়, শাহরিয়ারের লাশবাহী গাড়ি দেখে কান্নায় ভেঙ্গে পড়ছেন তার সহপাঠীরা। একজন আরেক জনের কাঁধে ভর করে কান্না করছেন। কেউ কেউ সান্ত্বনা দিতে দেখা যায় তাদের। এসময় শিক্ষকদের চোখে কান্নার আবাস ফুটে উঠে।
এদিকে তার গ্রামের বাড়িতে তাকে দাফন করার উদ্দেশ্যে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দুটো বাস যোগে শিক্ষার্থীরা দিনাজপুরের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়। নিহত শিক্ষার্থীকে তার গ্রামের বাড়িতে দাফন করা হবে বলে জানিয়েছেন তার বড় ভাই সারোয়ার শাকিল।
শাহরিয়ের বড় ভাই গোলাম সরোয়ার শাকিল কথা বলতে গিয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। তিনি বলেন, এই সময়ে একজন বড় ভাই হিসেবে ছোট ভাইয়ের জানাজায় দাড়ানো যে কতটা কষ্টের তা বলে বোঝানো যাবে না। আমাদের সকলের জানা উচিৎ আমরা সবাই রাষ্টের সম্পদ তার থেকে বড় কথা আমরা পরিবারের সস্পদ। আমি জানি না এই কফিনের ওজন আমার পরিবার সদস্যরা কেমন করে বহন করবে।
এর আগে সকাল ৯টায় কেন্দ্রীয় মসজিদে শাহরিয়ারের জানাজার নামাজ সম্পন্ন হয়। শাহরিয়ারের জানাজা নামাজে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড গোলাম সাব্বির সাত্তার, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মো. সুলতান উল-ইসলাম, মার্কেটিং বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড.ফরিদুল ইসলাম, রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার ও নিহত শাহরিয়ারে বড়, চাচাতো ভাই, সহপাঠীসহ প্রায় দুই হাজার শিক্ষক শিক্ষার্থী।
উল্লোখ্য গতকাল বুধবার রাত সাড়ে ৮ টার দিকে তৃতীয় তলার বারান্দা থেকে পড়ে যান শাহরিয়ার। বিকট শব্দ পাওয়ার পর কয়েকজন দেখতে পেলে তার কাছে ছুটে যান। ততক্ষণে তার মাথা ফেটে প্রচুর রক্তক্ষরণ হচ্ছিল। পরে তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার কিছুক্ষণ পরেই কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
জেবি/ আরএইচ/