মধ্যরাতে রাবি শিক্ষকের বাসার তালা ভেঙে সোনার গয়না ও টাকা চুরি


Janobani

ক্যাম্পাস প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৬:২০ পিএম, ২রা সেপ্টেম্বর ২০২৫


মধ্যরাতে রাবি শিক্ষকের বাসার তালা ভেঙে সোনার গয়না ও টাকা চুরি
ছবি: প্রতিনিধি

মো. বিপ্লব উদ্দীন, রাবি প্রতিনিধি:  রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) আবাসিক কোয়ার্টারে এক শিক্ষকের বাসা থেকে ২ ভরি সোনার গয়না, ল্যাপটপ ও মোবাইলসহ নগদ টাকা চুরির অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শিক্ষক বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও থানা বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।


সোমবার (১ আগস্ট) মধ্যরাত দেড়টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পশ্চিমপাড়া সংলগ্ন শিক্ষক কোয়ার্টারের প-৩৪ নম্বর বাসায় এ ঘটনা ঘটে।


এদিকে ভুক্তভোগী শিক্ষক হলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত রসায়ন ও রসায়ন প্রকৌশল বিভাগে সহযোগী অধ্যাপক ড. সাবিনা ইয়াসমিন। তিনি তার দুই মেয়েকে নিয়ে বাসায় থাকতেন।


খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সোমবার রাত প্রায় দেড়টার দিকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে হঠাৎ প্রচন্ড গতিতে ঝড়ো বাতাস শুর হয়। এই সুযোগে বাসার দরজার গ্রীল ভেঙে চোর বাসার ভেতরে প্রবেশ করেন। তখন ভুক্তভোগী শিক্ষক তার মেয়েদেরকে নিয়ে বাসায় ২য় তলায় ঘুমন্ত অবস্থায় ছিলেন। 


আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামের সাবেক ডিসি সুলতানা পারভীন কারাগারে


এ বিষয়ে ভুক্তভোগী শিক্ষক ড. সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, সোমবার আনুমানিক রাত দেড়টার দিকে আমার বাসার দরজা ভেঙে বাসায় চোর প্রবেশ করেন। 


এ সময় বাসায় থাকা ২টি ল্যাপটপ, ২ ভরি সোনার গহনা, ২টি মোবাইল, প্রায় নগদ ৫০ হাজার টাকা নিয়ে গেছে। এছাড়াও আমার ছেলে মেয়েদের স্কুল ব্যাগ এবং কাপড়চোপরসহ অনেক কিছুই তারা নিয়ে গেছে। 




আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকতার আইডি কার্ডসহ এনআইডি কার্ডও নিয়ে গেছে। তাদের নিয়ে আসা একটা স্ক্রু ডাইভার তারা রেখে গেছেন। এই ঘটনা নিয়ে আমি থানায় অভিযোগ করেছি। পরে পুলিশ এসে তা সংগ্রহ করে নিয়ে গেছে বলে জানান তিনি।


তিনি আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের আবাসিক এলাকায় এমন চুরির ঘটনা আসলে মেনে নেওয়া যায় না। এর আগে এমন ঘটনা ঘটেছে। যদি বিশ্ববিদ্যালয় আমাদের নিরাপত্তা না থাকে তাহলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জন্য কোয়ার্টার থাকার প্রয়োজন নেই।


লিখিত অভিযোগ বিষয়ে মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মালেক বলেন, আমরা একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। আমাদের একটি টিম সেখানে গিয়েছিল, ঘটনা পর্যবেক্ষণ করে আসছে। আমরা এ ঘটনা নিয়ে কাজ করছি। 


বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মাহবুবর রহমান জানান, ভুক্তভোগী শিক্ষক সকালেই আমাদের কাছে অভিযোগ দিয়েছেন। এরপর পুলিশ প্রশাসনকে নিয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। পুলিশকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করতে আমাদের পক্ষ থেকে জানানো হয়। আশা করছি মোবাইল ফোন ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে চোরদের সনাক্ত করতে পারবেন পুলিশ সদস্যরা।


এসএ/