লেপ-তোষক তৈরীতে ব্যস্ত কারিগররা

শীত নিবারণের আগাম প্রস্ততি হিসেবে লেপ তোষক তৈরী করাতে ক্রেতারাও ভিড় করছেন দোকান গুলোতে। অনেকেই আবার ব্যস্ত নিজের পুরনো লেপ-তোষক মেরামতের কাজ নিয়ে
বিজ্ঞাপন
শীতের আগমনী বার্তায় সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জের ৯টি ইউনিয়নে লেপ-তোষক তৈরিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন কারিগররা।
শীত নিবারণের আগাম প্রস্ততি হিসেবে লেপ তোষক তৈরী করাতে ক্রেতারাও ভিড় করছেন দোকান গুলোতে। অনেকেই আবার ব্যস্ত নিজের পুরনো লেপ-তোষক মেরামতের কাজ নিয়ে।
বিজ্ঞাপন
উপজেলার স্থানীয় নিমগাছী বাজার এলাকার কারিগর আতিকুল ইসলাম জানান,এই অঞ্চলে এখনো ধান কাটা ও মারাইর পুরোপুরি শেষ হয়নি। তাই গ্রামাঞ্চল থেকে লেপ-তোষকের চাহিদা তেমন আসছেনা। তবে শীত বাড়ার সাথে সাথে চাহিদা বাড়তে পারে এমনটাই আশা করছেন স্থানীয় এই ব্যবাসায়ীরা।
বিজ্ঞাপন
প্রচলিত রীতি অনুযায়ী পৌষ ও মাঘ এই দুই মাস শীতকাল। উপজেলার বিভিন্ন এলাকার দোকানে সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে শীতের আগাম প্রস্তুতির জন্য লেপ-তোষক তৈরী করাতে দোকানে ভিড় করছেন ক্রেতারা। কারিগররাও এসব তৈরিতে ব্যস্ত হয়ে পরেছেন।
উপজেলার হাটপাঙ্গাসী হাটের একজন ব্যবসায়ী আব্দুস সামাদ বলেন, একটি লেপ বা তোষক তৈরিতে একজন কারিগরের সময় লাগে ১ ঘণ্টা থেকে দেড় ঘন্টা। এভাবে একজন কারিগর দিনে ৫ থেকে ৬টি লেপ বা তোষক তৈরির কাজ করে থাকেন। যার ১টি লেপ তৈরীতে ১ হাজার টাকা থেকে ২ হাজার টাকা লাগে ও ১টি তোষক তৈরীতে ১ হাজার ৮’শ থেকে ৩ হাজার টাকা লেগে থাকে। এতে ১ টি লেপের মজুরি হিসাবে একজন দিনমজুর পান ২’শ টাকা থেকে ৩’শ টাকা ও ১ টি তোষকের মজুরি পান ৪’শ থেকে ৭’শ টাকা।
বিজ্ঞাপন
উপজেলার একটি বেডিং স্টোরের মালিক জানান, শীত মৌসুমে তিন মাস কারিগররা যে হারে লেপ-তোষক তৈরির কাজ পান বছরের বাকি সময় তাদের এই কাজ থাকেনা। তখন তারা অন্য পেশায় নিয়োজিত হন। এ বছর কাজের চাহিদা কম থাকায় ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি কারিগরদেরও উপার্জন কমে গেছে। তবে শীত বাড়ার সাথে সাথে চাহিদা বাড়তে পারে বলে ধারণা করছেন তারা। নভেম্বর মাসের প্রথম দিক থেকেই শীতের আগমনী বার্তা শুরু হয়। তাই শীত মোকাবিলায় আগাম প্রস্তুতি হিসাবে ব্যবসায়ীরা গ্রাহকের চাহিদা অনুযায়ী লেপ-তোষক তৈরি করে দোকানে মজুদ করে রাখছেন।
বিজ্ঞাপন
উপজেলা ও বিভিন্ন এলাকার দোকানে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে শীতের আগাম প্রস্তুতির জন্য লেপ-তোষক বানাতে দোকানে ভিড় করছেন ক্রেতারা। কারিগররাও এসব তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
রায়গঞ্জ উপজেলার ধানগড়া বাজারের একজন বেডিং স্টোরের মালিকের থেকে জানতে চাইলে তিনি বলেন, শীত মৌসুমে তিন মাস কারিগররা যে হারে লেপ-তোষক তৈরির কাজ পান বছরের বাকি সময় তাদের এই কাজ থাকেনা। তখন তারা অন্য পেশায় নিয়োজিত হন। এ বছর কাজের চাহিদা কম থাকায় ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি কারিগরদেরও উপার্জন কমে গেছে। তবে শীত বাড়ার সাথে সাথে চাহিদা বাড়তে পারে বলে ধারনা তাদের।
বিজ্ঞাপন
আরএক্স/








