১০১ জনকে ইয়াবা মামলায় দেড় বছরের সাজা ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা


Janobani

জেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০২:২২ পূর্বাহ্ন, ২৪শে নভেম্বর ২০২২


১০১ জনকে ইয়াবা মামলায় দেড় বছরের সাজা ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা
ছবি: জনবাণী

আত্মসমর্পনকারি ১০১ জনকে ইয়াবা মামলায় দেড় বছরের সাজা ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অস্ত্র মামলায় খালাস দিয়েছে আদালত।


কক্সবাজারের টেকনাফে প্রথম দফায় আত্মসমর্পনকারি ১০১ জনের বিরুদ্ধে দায়ের করা পুলিশের ২ টি মামলার রায় ঘোষণা করেছে আদালত। রায়ে ইয়াবা মামলায় প্রত্যককে ১ বছর ৬ মাসের কারাদন্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা প্রদান করা হয়েছে। একই সঙ্গে অস্ত্র মামলায় সকলকে খালাসের আদেশ দিয়েছে আদালত।


বুধবার (২৩ নভেম্বর) দুপুর ১ টা ৫০ মিনিটের দিকে এ রায় ঘোষণা করবেন কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ ইসমাইল।


মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ফরিদুল আলম জানিয়েছেন, দুপুর ১২ টা ৫০ মিনিটের দিকে বিচারক রায় পাঠ শুরু করেন। রায় পাঠ শেষে ১০১ জনকে ইয়াবা মামলায় ১ বছর ৬ মাসের কারাদন্ড প্রদান করেন। এতে ২০ হাজার টাকা জরিমানা অবশ্যই প্রদান করার নিদের্শ দেন আদালত। একই সঙ্গে পুলিশের দায়ের করা অস্ত্র মামলায় সকলকে খালাসের আদেশ দিয়েছে।


রায় ঘোষণাকালে ১৭ জন আসামি আদালতে উপস্থিত থাকলেও অনুপস্থিত ছিল ৮৪ জন। এজাহারের বিবরণ মতে, ২০১৯ সালের ১৬ ফেব্রæয়ারি শনিবার টেকনাফ সৈকতের নিকটবর্তী এলাকায় ইয়াবা ও অস্ত্র সহ একদল ইয়াবা কারবারি অবস্থান নেয়ার খবরে পুলিশ অভিযান চালায়। ওই সময় পুলিশকে ১০২ জন আত্মসমর্পনের ইচ্ছে প্রকাশ করেন। 


ওই দিনে টেকনাফ সদরের টেকনাফ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের উপস্থিতিতে ১০২ জন আত্মস্বীকৃত ইয়াবা কারবারি ও গডফাদার সাড়ে ৩ লাখ ইয়াবা, ৩০ টি দেশীয় তৈরি বন্দুক ও ৭০ রাউন্ড গুলিসহ আত্মসমর্পণ করেন। ওইদিনই আত্মসমর্পণকারী ১০২ জনকে আসামী করে টেকনাফ মডেল থানায় অস্ত্র ও মাদক আইনে মামলা দায়ের করা হয়। বাদী হয়ে মামলাটি করেন টেকনাফ থানার তৎকালীন পরিদর্শক (অপারেশন) শরীফ ইবনে আলম। 


মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা হিসাবে নিয়োগ দেওয়া হয় পরিদর্শক এবিএমএস দোহাকে। মামলা দায়েরের দিনই আদালতের মাধ্যমে সকল আসামীকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কক্সবাজার জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। ১০২ জন আসামীর মধ্যে মামলার বিচারিক কার্যক্রম চলাকালে ২০১৯ সালের ৭ আগস্ট মোহাম্মদ রাসেল নামে এক আসামী অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।


২০২০ সালের ২০ জানুয়ারি কক্সবাজারের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম তামান্ন ফারাহ এর আদালত ১০১ আসামীর বিরুদ্ধে মামলার অভিযোগপত্র (চার্জশীট) দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। পরবর্তীতে মামলাটি বিচারের জন্য জেলা ও দায়রা জজ আদালতে প্রেরণ করা হয়। একই বছরের ২৭ ফেব্রয়ারি জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ ইসমাইল সকল আসামীর উপস্থিতিতে শুনানী শেষে মামলার চার্জ গঠন করেন। বিচার শেষে ১৫ নভেম্বর মামলার রায় ঘোষণার জন্য ২৩ নভেম্বর দিন ধার্য্য করেন।


আরএক্স/