উপজেলা আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তার দুর্নীতি ও নারী কেলেংকারী
নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১:৪৫ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২
গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি: গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর উপজেলার আনসার ভিডিপি কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, অনিয়ম, অর্থ আত্মসাৎ ও নারী কেলেংকারীর অভিযোগ উঠেছে।
অভিযোগে জানা গেছে, তিনি নিয়মিত অফিস করেন না, বিনা ছুটিতে বাড়িতে সময় কাটান, আনসার ও ভিডিপি সদস্যদেরকে টাকার বিনিময়ে দিনের পর দিন ছুটি দেন। এছাড়া সদ্য সমাপ্ত ৩য় ধাপে মুকসুদপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ২,৪৪৮ জন প্রশিক্ষনপ্রাপ্ত আনসার ভিডিপি সদস্যের নির্বাচনী কাজে নিয়োগ দেওয়ার কথা থাকলেও তিনি তার বিশ্বস্ত লোক দিয়ে প্রশিক্ষনপ্রাপ্ত আনসার ভিডিপি সদস্যের নিকট থেকে এক থেকে দেড় হাজার টাকা উৎকোচ নিয়েছেন। যারা টাকা দিতে অস্বীকার করেছেন তাদেরকে নির্বাচনী ডিউটি থেকে বাদ দিয়ে অপ্রশিক্ষিত আনসার সদস্যের নিকট থেকে ১০০০/১৫০০ টাকা নিয়ে নির্বাচনী ডিউটি দেন। পার্শ্ববর্তী উপজেলা সালতা, কাশিয়ানী, টুঙ্গিপাড়া, কোটালীপাড়া ও মুকসুদপুরের কতিপয় আনসার সদস্য জহির মোল্লা, মাসুদ রানা, নাইম মীর, আকরাম মোল্লা, আমিনুর রহমান, আফতাব সহ ১৭জন আমাদের প্রতিবেদকের কাছে অভিযোগ করেন। শুধু তাই নয় ডিউটি বঞ্চিত ভুক্তভোগী আনসার সদস্যরা পরে উৎকোচের টাকা ও প্রশিক্ষণের সনদ ফেরত চাইলেও তিনি তা না দিয়ে তালবাহানা করেন।
পরে বিষয়টি অবগত হয়ে আমাদের প্রতিবেদক গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসক, জেলা পুলিশ সুপার ও জেলার সহকারী অ্যাডজুটেন্টকে বিষয়টি জানালে তারা মুকসুদপুর উপজেলা আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলামকে বিষয়টি সমাধান করার কথা বলেন। পরে ওই উপজেলা ভিডিপি কর্মকর্তা কাউকে কোন তোয়াক্কা না করে দুর্নীতির মাধ্যমে আনসার সদস্যের নিয়োগ দেন, বিনিময়ে লুটে নিয়েছেন লক্ষ লক্ষ টাকা। এছাড়া নারী আনসার ভিডিপি প্রশিক্ষক সুন্দরী আশালতা ও সম্পার সাথে তার অনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে বলে অভিযোগকারীরা জানান। গোপালগঞ্জ থেকে একাধিক গণমাধ্যমকর্মীরা মুকসুদপুরে তার অফিসে গিয়ে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি তাদের সাথে রুঢ় আচারণ করে কাউকে কিছু না বলে একটি ব্যাগ হাতে নিয়ে সটকে পড়েন।
ভুক্তভোগীরা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিকট সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে মুকসুদপুর উপজেলা আনসার ভিডিপি কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জোর দাবি জানান।