একটি সেতুর অভাবে দুর্ভোগে কয়েক হাজার মানুষ


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১:৪৫ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২


একটি সেতুর অভাবে  দুর্ভোগে কয়েক হাজার মানুষ

একটি সেতুতে বদলে যেত হাজারো মানুষের জীবন চিত্র। খাগড়াছড়ি জেলার মাটিরাঙ্গা উপজেলার গুমতি ইউনিয়নের খরস্রোতা গুমতি খালের ওপর একটি সেতু নির্মিত হলে কষ্ট লাঘব হতো খালের ওপারের ১৭টি গ্রামের বাসিন্দাদের। এসব পাড়ার মানুষের দুর্ভোগ লাগবে এখনো কোনো উদ্যোগ নেয়নি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।ফলে দুর্ভোগ নিয়েই খাল পারাপার হন শিক্ষার্থী ও অসুস্থ রোগীসহ এলাকার শতশত মানুষ। 

এ ইউনিয়নের অন্তর্গত নয় নম্বর ওয়ার্ডের প্রশ্চাদপদ কয়েকটি পাহাড়ি গ্রামের জীবনযাত্রা খুবই নাজুক। বড়পাড়া, কেশব মহাজনপাড়া, সাজেক পাড়া, নতুন পাড়া, কুকিপাড়া, রাস্তা হাদুক, আমলা হাদুকসহ অন্তত ১৭টি পাড়ার মানুষের যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম গোমতি খাল। গোমতি বাজার ও খাগড়াছড়ির সঙ্গে যোগাযোগের জন্য গোমতি খাল অতিক্রম করেই যেতে হয়। খালের ওপর সেতু না থাকায় এসব এলাকার কয়েক হাজার মানুষ সংকটে পড়েন। গত ১১ বছর আগে খালের ওপর দুটি পিলার তৈরি করলেও সেতু নির্মাণ কাজ শেষ করেনি। এটি কোন কর্তৃপক্ষ করেছে, তাও কেউ জানাতে পারেননি স্থানীয়রা। 

স্থানীয় বাসিন্দা আথুসি মারমা বলেন, একটি সেতুর অভাবে আমরা কি পরিমাণ কষ্টে আছি বোঝাতে পারবো না। বর্ষাকালেতো শহরে যাতায়াত করা যায় না। আর এখানে কৃষিপণ্য বিক্রি করে ন্যায্য মূল্য পাচ্ছি না। সরকার আসে, সরকার যায় কিন্তু আমাদের ভাগ্য বদলায়না। 

অপর বাসিন্দা গুরু রঞ্জন ত্রিপুরা বলেন, স্বাধীনতার এত বছরেও গোমতির এসব গ্রামের মানুষের দুঃখ লাগবে একটি সেতু নির্মিত হয়নি। সন্তানদের স্কুলে যাতায়াত থেকে শুরু করে নিত্যপ্রয়োজনে আমাদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। 

এলাকার উৎপাদিত মালামাল বেচাকেনার জন্য বাজারে নিয়ে যেতে কষ্ট হয়। পাহাড়ে উৎপাদিত কলা, ধান, শাক-সবজি মাথায় ও কাঁধে বহন করে নিয়ে যেতে হয়। শিক্ষার্থীদের স্কুল-কলেজে যেতে দুর্ভোগ পোহাতে হয়। এছাড়াও গর্ভবর্তী মা ও শিশুর যাতায়াত এবং অসুস্থ রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে যেতেও কষ্টের সীমা থাকে না। 

এ বিষয়ে মাটিরাঙ্গা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম বলেন, স্থানীয় সংসদ সদস্যের ডিও লেটারসহ বিভিন্ন উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করা হয়েছে। আমরা আশা করছি দ্রুত একটি সেতু নির্মাণ করা হবে। 

শুষ্ক মৌসুমে স্থানীয়রা কোনো রকমে খাল পার হলেও বর্ষায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকে গোমতির পিছিয়ে থাকা এসব এলাকাগুলো। যথাযথ কর্তৃপক্ষ দ্রুতই ব্যবস্থা নিয়ে সেতুটি নির্মাণ করবে বলে আশাবাদী এসব পাড়ার বাসিন্দারা। 

এসএ/