শ্রীপুরে খেজুরের রস সংগ্রহে ব্যস্ত গাছিরা


Janobani

উপজেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১:৪৭ পূর্বাহ্ন, ১৭ই জানুয়ারী ২০২৩


শ্রীপুরে খেজুরের রস সংগ্রহে ব্যস্ত গাছিরা
খেজুরের রস সংগ্রহে ব্যস্ত সময় পার করছেন গাছিরা

শীতের দিনে অন্যতম একটি আকর্ষণ থাকে খেজুরের রস। শ্রীপুর উপজেলার রাজাবাড়ী এলাকায় এই রস সংগ্রহে ব্যস্ত সময় পার করছেন গাছিরা। আগের দিন খেজুর গাছের ওপরের দিকে চিরে একটি বাঁশের তৈরি নলি লাগানো হয়। সেটির সঙ্গে মাটির হাড়ি বেঁধে দেওয়া হয় রস একত্রিত করার জন্য। আর পরের দিন ভোর থেকে শুরু হয় রস সংগ্রহ। শীত এলেই চাহিদা বাড়ে খেজুর গুড় ও পাটালির।


এ সময় রসের অনেক চাহিদা থাকলেও লোকবলের অভাবে অধিকাংশ গাছে হাড়ি বসানো হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন গাছিরা। এ কারণে চাহিদা অনুযায়ী রসের জোগান দিতে পারছেন না তারা।


রাজাবাড়ী ইউনিয়নের কাফিলাতলী গ্রামের গাছি আমজাদ হোসেন জানান, এ বছর ১৫০ খেজুর গাছ থেকে রস সংগ্রহ করছেন তিনি। সেগুলোর বাজার মূল্য ভালো পাচ্ছেন তিনি। তবে শ্রীপুর খেজুরের গুড়ের কোনো বাজার না থাকায় উৎপাদিত রস ও গুড় বিক্রি করা যাচ্ছে না। এ মৌসুমে ভালো মানের গুড় ও পাটালি তৈরি করা যায়। এক হাড়ি রস ২০০ টাকা থেকে ৩০০ টাকা, গুড় ও পাটালি ৪০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এ বছর এক থেকে দেড় লাখ টাকার রস ও গুড় বিক্রির আশা রয়েছে বলেও জানান তিনি।


আক্কাস নামে আরেক গাছি বলেন, খেজুরের রস দিয়ে অনেক খাবার তৈরি করা হয়। এখন আর আগের মতো তেমন গাছ নেই। এ বছর ১০০টি খেজুর গাছ কেটেছি। ভালো দামও পাচ্ছি। কিন্তু চাহিদা মতো যোগান দিতে পারছি না। অনেকেই উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে খেুজর রস নিতে আসেন। রস ও পাটালি ৩৫০ টাকা থেকে ৪০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।


উপজেলায় খেজুর গুড় ও পাটালির ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। সেই তুলানায় গাছিরা চাহিদা মতো রস ও গুড় পাটালি যোগান দিতে পারছে না। বিভিন্ন কারণে অধিকাংশ খেজুর গাছ অকেজো হয়ে মরে গেছে। এতে নতুন প্রজন্মের মানুষ ঐতিহ্যবাহী খেজুরের রস ও গুড়ের পিঠার স্বাধ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।


শ্রীপুর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মূয়ীদুল হাসান বলেন, এ উপজেলায় কিছু এলাকায় খেজুরের রস ও পাটালির চাহিদা অনেক। এ মৌসুমে গাছিরা রস সংগ্রহে ব্যস্ত সময় পার করছেন। এখানে খেজুরের গাছ রয়েছে প্রায় এক লাখের উপরে। তবে শ্রীপুর খেজুরের রসের ভালো কোনো বাজার না থাকায় গাছিরা রস সংগ্রহের পর তা বিক্রি করতে পারছেন না। অনেকেই গুড় বানিয়ে সেগুলো বাইরে বিক্রি করে দিচ্ছেন। খেজুরের গুড়ে যাতে ভেজাল না দেওয়া হয় সে জন্য প্রযুক্তিগত জ্ঞান দেওয়া হচ্ছে।