মুন্সীগঞ্জে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে দুদকের তদন্ত শুরু


Janobani

জেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৫:৫৭ পূর্বাহ্ন, ২৭শে জানুয়ারী ২০২৩


মুন্সীগঞ্জে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে দুদকের তদন্ত শুরু
বেতকা ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়- ছবি: জনবাণী

মুন্সীগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী উপজেলার বেতকা ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মহিউদ্দিন আল মামুনের বিভিন্ন অনিয়ম ও অর্থ আত্নসাতের  অভিযোগে দুদক তদন্ত শুরু করেছে। 


এর আগে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মহিউদ্দিন আল মামুনের বিভিন্ন অনিয়ম ও অর্থ আত্নসাৎ নিয়ে  বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়। 


উপজেলার বেতকা ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের ভেতরে গত আগষ্ট মাস থেকে নভেম্বর মাস পর্যন্ত প্রকাশ্যে কোচিং বাণিজ্য করে আসছিল ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষকসহ অন্যান্য শিক্ষকরা। ৬ষ্ঠ থেকে ১০ম শ্রেণী পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন কৌশলে কোচিং করতে বাধ্য করতেন প্রধান শিক্ষকসহ ওই স্কুলের শিক্ষকরা। সপ্তাহে ৩ দিন করে দুই বিষয়ের উপর পড়িয়ে আদায় করা হতো টাকা। 


এর আগে গত বছরের ২৮ নভেম্বর থেকে ওই বিদ্যালয়ের বার্ষিক পরীক্ষা শুরু হলে কোচিংয়ের পাওনা টাকার জন্য অনেক শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা দিতে দিচ্ছিলনা ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। কিন্তু গরিব অসহায় অনেক শিক্ষার্থী কোচিংয়ের টাকা পরিশোধ করতে না পারায় তাদের পরীক্ষার প্রবেশপত্র পেতে বেশ ভোগান্তির স্বীকার হতে হয়। কোচিং ফি না দেওয়া পর্যন্ত দেওয়া হচ্ছিল না বার্ষিক পরীক্ষার প্রবেশপত্র। এ সমস্ত বিষয় নিয়ে বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়।  


পরে দুর্নীতি দমক কমিশন গত ১৫ ডিসেম্বর ৭ দিনের মধ্যে এ বিষয়ে জবাবদিতে একটি চিঠি ইসু করে। দুর্নীতি দমন কমিশনের পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে মুন্সীগঞ্জ জেলার টঙ্গিবাড়ী উপজেলাধীন বেতকা ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মহিউদ্দীন আল মামুনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম অর্থ আত্নসাতের অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত প্রতিবেদন প্রেরন প্রসঙ্গে শিরোনামে এক চিঠি ইস্যু করে। 


এ ব্যাপারে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মহিউদ্দিন আল মামুন জনবানী’কে বলেন, চিঠিটা ১৫ই ডিসেম্বর ইসু করা হলেও আমি হাতে পাইনি। পরবর্তীতে জানুয়ারী মাসের মাঝামাঝি সময়ে আমাকে দুদক থেকে ফোন দিয়ে চিঠি পেয়েছি কিনা জানতে চায়। আমি চিঠি না পাওয়ার বিষয়ে জানালে তারা আমার মেইল নাম্বার চায়। আমি মেইল নাম্বার দিলে তারা  একটি চিঠি মেইল করে পাঠায়। আমি তাদের কাছে জানতে চেয়েছিলাম আমার এ বিষয়ে কি করণীয় আছে। দুদক থেকে আমাকে জানানো হয়েছে তারা নিজেরাই এ বিষয়ে তদন্ত করবেন। তবে এখোন পর্যন্ত তদন্তে দুদক হতে কেউ আসেনি। 


এ ব্যাপারে টঙ্গিবাড়ী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা খালেদা পারভীন জনবানী’কে বলেন, দুর্নীতি দমন কমিশন থেকে ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে শুনেছি। তবে আমি কোন চিঠি এখনো পাইনি।