খাদ্য নিরাপত্তা অর্জনে এগ্রিকালচারের মেকানাইজেশন প্রয়োজন: আইবিসিসিআই প্রেসিডেন্ট


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৩:২৮ পূর্বাহ্ন, ২৯শে জানুয়ারী ২০২৩


খাদ্য নিরাপত্তা অর্জনে এগ্রিকালচারের মেকানাইজেশন প্রয়োজন: আইবিসিসিআই  প্রেসিডেন্ট
আইবিসিসিআই সভাপতি আবদুল মাতলুব আহমাদ

ইন্দো বাংলাদেশ এগ্রি মেকানাইজেশন সামিট উপলক্ষে  ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরা (আইসিসিবি)তে একটি একটি প্রেস ব্রিফিং অনুষ্ঠিত  হয়েছে। 


শনিবার (২৮ জানুয়ারি) এ প্রেস ব্রিফিং অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন আইবিসিসিআই সভাপতি আবদুল মাতলুব আহমাদ।


অন্যান্যদের  মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মনীশ মোহন (সিনিয়র ডিরেক্টর সিআইআই), অশোক অনন্তরামন (সিওও, এসিই) এবং সুদর্শন আর (ভাইস প্রেসিডেন্ট, টাফে). সামিট চলাকালীন অনেকগুলো MOU সাক্ষরিত হয়।


এসময় আইবিসিসিআই  -এর প্রেসিডেন্ট আব্দুল মাতলুব আহমাদ বলেন, বাংলাদেশে খাদ্য নিরাপত্তা অর্জনের জন্য এগ্রিকালচারের মেকানাইজেশন প্রয়োজন। ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার খাদ্য চাহিদা পূরনে কৃষিতে যন্ত্রপাতির ব্যবহার বাড়াতে হবে।  


তিনি আরও বলেন,বাংলাদেশ একটি কৃষিনির্ভর দেশ।  বাংলাদেশ কৃষি  গোড়পতন জাতির জনকের হাত ধরে শুরু। ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার সাথে সংগতি রেখে খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি অব্যাহত রাখা একটি বড় চ্যালেঞ্জ। বর্তমান সরকার কৃষিকে যান্ত্রিকীকরনের মাধ্যমে  উৎপাদন খরচ কমিয়ে আনার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। আমাদের দেশে জমি চাষে ৯৫% ভাগ ক্ষেত্রে কৃষি যন্ত্রের ব্যাবহার হলেও চারা রোপনের ক্ষেত্রে কৃষি যন্ত্রের ব্যাবহার ৩% এর কম। অন্যদিকে ফসল কাটার জন্য ১০% হারভেষ্টার ব্যবহার হলেও ধান মাড়াই এর ক্ষেত্রে  ৯৫% থ্রেসার ব্যবহার করে থাকে। কৃষি উৎপাদনের সকল ক্ষেত্রে কৃষি যন্ত্রপাতির ব্যবহার নিশ্চিত করা গেলে উৎপাদন খরচ বহুলাংশে হ্রাস পাবে এবং কৃষক বিপুলভাবে লাভবান হবে, উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে এবং এতে করে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে।


আব্দুল মাতলুব আহমাদ বলেন, তৈলজাতীয় বীজ যেমন সরিষা, সূর্যমুখীর বিপুল পরিমাণে দেশে চাষ হলেও  যথাযথ ক্রাসার মেশিনের অভাবে প্রয়োজনীয় তেল আহরন সম্ভব হচ্ছে না। এক্ষেত্রে যথাযথ ক্রাসার মেশিনের অভাব দীর্ঘদিন ধরে অনুভূত হচ্ছে। এখানে joint venture এর মাধ্যমে কৃষি যন্ত্রপাতি প্রস্তুত করে দেশের চাহিদা মেটানো হবে এবং বিদেশে রপ্তানি করা হবে।


তিনি বলেন, বর্তমান সরকার কৃষি যান্ত্রিকীকরনের জন্য নানাবিধ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। এক্ষেত্রে CII এবং TMA এর সহযোগীতা সরকারের এই কাযক্রমকে আরও বেগবান করবে। বাংলাদেশ আশা করে যে ভারতীয় ব্যবসায়ীগন বাংলাদেশর এই উদ্যেগকে এগিয়ে নিতে স্বল্প মূল্যে কৃষি যন্ত্রপাতি এবং যন্ত্রাংশ সরবারাহ করবে।